/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/07/Untitled-design-2021-07-12T194136.335.jpg)
প্রতীকী ছবি
জঙ্গলঘেরা ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে যাচ্ছে পর্যটকবোঝাই গাড়ি, হঠাৎ রাতের অন্ধকারে সাদা থান পরা এক মহিলার গাড়ির সামনে আবির্ভাব!আপনি হলে কী করতেন! পেত্নী বা অশরীরী আতঙ্কে নিশ্চয় মূর্ছা যেতেন! কিন্তু সাহসী কয়েকজন পর্যটকের উদ্যোগে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই মহিলাকে আটক করেছে মেটেলি থানার পুলিশ। পরে তাঁকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় হাসপাতালে। যদিও ঘুটঘুটে অন্ধকারে আচমকা অমন বেশে একজনকে দেখে আঁতকে উঠেছিলেন কয়েকজন পর্যটক। লাটাগুড়ির মহাকালধামের কাছে এই ঘটনায় একেবারে হুলুস্থুলু কাণ্ড।
যে পর্যটকদল ওই মহিলাকে উদ্ধার করে, তাদের মধ্যে একজন তানিয়া হক বলেন, ‘ভূতের মতো গাড়ির সামনে চলে আসেন ওই মহিলা। ভয়ে গাড়ি থামাতেই বনেটের ওপর উঠে চিৎকার করে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেন। আমাদের গাড়িতে থাকা এক মহিলা বেরিয়ে ওকে ধরে। দেখেন পিছনে থাকা চার জন জঙ্গলের দিকে পালিয়ে যায়।‘
এদিকে,ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মেটলি থানার পুলিশ। ততক্ষণে হুলুস্থুলু কাণ্ড ও চিৎকার-চেঁচামেচির জেরে বেশ ভিড় জমেছে জাতীয় সড়কে। পর্যটকদের দাবি মোতাবেক, ওই মহিলার সঙ্গীদের পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে সন্দেহ দানা বেঁধেছে পুলিশের। তাহলে কি গোটা ঘটনার নেপথ্যে ছিনতাইচক্র। অশরীর ভয় দেখিয়ে গাড়ি থামিয়ে পর্যটকদের লোটার চেষ্টা?
তবে এই ঘটনায় লিখিত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পুলিশ বিষয়টা খতিয়ে দেখছে। যদিও ডুয়ার্সের জঙ্গলে ভূত রয়েছে, এমন একটা জল্পনা লোকমুখে প্রচলিত। কিন্তু তার কোনও হাতেগরমে প্রমাণ মেলেনি বলেই পুলিশের একাংশের দাবি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন