নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে ইডি বৃহস্পতিবার ফের তলব করেছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যা শুনেই বুধবার ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রশ্ন, 'আমি জানি না, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে? আমাদের নেতা?'। এরপর আর এ বিষয়ে কোনও কথা শোনা যায়নি তাঁর মুখে। উল্টে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলতে থাকেন, 'আপনাদের একটা কথা বলি শুনুন। আমি সমস্ত ব্যাপারে নির্দোষ, এটা জেনে নিন। ১৩ তারিখ আমাকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হবে। সেখানে বুঝতে পারবেন আমি অত্যন্ত ক্লিয়ার।'
স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য এদিন সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি দফতর থেকে কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। সিজিও থেকে গাড়িতে ওঠার সময়ই নিজেকে নির্দোশ বলে দাবি করেন ধৃত বনমন্ত্রী।
এই প্রথম নয়, গত সপ্তাহেই রেশন দুর্নীতিতে ধৃত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দাবি করেছিলেন যে, 'আমি চক্রান্তের শিকার। বিজেপি আমায় ফাঁসিয়েছে। মমতাদি-অভিষেক সব জানে। আমি দলের সঙ্গে ছিলাম, আছি এবং থাকব। দলও আমার পাশে আছে।' তাহলে কী মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক রেশন দুর্নীতির সবটাই জানতেন? জ্যোতপ্রিয়র বিস্ফোরক মন্তব্যের পরই তা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। পাল্টা রাজ্যের মন্ত্রীকেই 'বেইমান' বলে তোপ দেগেছিলেন তৃণণূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- দলবদলু বিধায়কের বাড়িতে আয়কর হানা, বাড়ি-রাইস মিল-অফিসে তন্ন তন্ন করে তল্লাশি
তারপরও থামেননি প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী। গত সোমবার সিজিও থেকে কমান্ড হাসপাতালে যাওয়ার সময় ও কোর্টে প্রবেশের মুখে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দাবি করেছিলেন যে, 'আমি মুক্ত, আমি মুক্ত, আমি মুক্ত। এরা যা করেছে, অন্যায়, অনৈতিক কাজ করেছে। কোর্ট নিশ্চয়ই বিচার করবে।' তবে তবে কে বা কারা 'অন্যায়, অনৈতিক' কাজ করেছে তা সেদিন খোলসা করেননি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
মন্ত্রীর দাবি অবশ্য মেলেনি। জামিন নাকচ হয়ে যায় তাঁর। উল্টে আরও ৬ দিন ইডি হেফাজত মঞ্জুর হয় জ্যোতিপ্রিয়র। পরে আদালত চত্বর ছাড়ার সময় মন্ত্রী বলেছেন, 'সাত দিন পর আবার আসছি। সাত দিন, সাত দিন।' সেদন কী আদালতে কিছু বোমা ফাটাতে পারেন তিনি? সেদিকেই নজর সকলের।