রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় বাজেট নিয়ে পারদ চড়ে গিয়েছে। এরাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন ছাড়াও বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভার নির্বাচন ইতিমধ্যে ঘোষণাও হয়ে গিয়েছে। তবে এই ভোটগুলিতে যে বাজেটের কোনও ভাল প্রভাব পড়বে না তা জানিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। আয়করের ছাড় বৃদ্ধি পেলেও বাজেটের কড়া সমালোচনা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে আশার আলো দেখছে বিজেপি।
রাজ্যের আবাস যোজনা, ১০০ দিনের কাজ সহ নানা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা কেন্দ্রীয় সরকার দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করে আসছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বরং আবাস যোজনার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধ দল। বঙ্গ বিজেপি দাবি করে আসছিল, দালান বাড়ির মালিক তৃণমূল নেতা ও পঞ্চায়েত কর্তাদের আবাস যোজনার তালিকায় নাম রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে তালিকা থেকে নাম বাদও গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বাজেটে আবাস যোজনার বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
রাজ্যের অর্থমন্ত্রী তথা মহিলা তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের দাবি, গ্রামের মানুষের কথা ভেবে বাজেট হয়নি। গরীব মানুষের কথা ভাবা হয়নি কেন্দ্রীয় বাজেটে। বরং মুদ্রস্ফীতি বেড়ে গেলে কোনও লাভই হবে না। রাজ্যের আবাস যোজনা, ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার। উল্টে বাজেট বরাদ্দ কমিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তৃণমূল নেতা বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, বিজেপির মিথ্যাচার ধরা পরে যাবে। ভোটে কোনও লাভ হবে না।
২০২২-২৩ আর্থিক বছরে আবাস যোজনা খাতে বরাদ্দ ছিল ৪৮,০০০ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪-এ বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এবার এই খাতে বাজেটে বরাদ্দ করা হয়েছে ৭৯,৫৯০ কোটি টাকা। বিজেপির দাবি, আবাস যোজনা, কিষাণ ক্রেডিট কার্ডসহ একাধিক গ্রামীণ প্রকল্পের দিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বাজেটে। এই বাজেট সাধারণের উন্নতি সাধনে কার্যকরী ভূমিকা নেবে।