তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের দু'টি ফ্ল্যাট থেকে ইডি ৫০ কোটি নদগ উদ্ধার করেছে। কেন এত টাকা ফ্ল্যাটে রাখা হয়েছে? কীভাবে এই টাকা এল? তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এর মধ্যেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছেন যে উদ্ধার হওয়া বিপুল টাকা তাঁর নয়। এবার মুখ খুললেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। জোকার ইএসআই হাসপাতালে ঢোকার সময় অর্পিতা বললেন, 'এই টাকা আমার নয়। আমার অনুপস্থিতিতে এবং আমার অজান্তে ফ্ল্যাটে টাকা ঢোকান হয়েছে।'
এই প্রথম নয়। এর আগেও অর্পিতা দাবি করেছিলেন যে, তাঁর দু'টি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া ৫০ কোটি টাকা তাঁর নয়। ফ্ল্যাটের যে ঘরগুলি থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে সেখানে নাকি তিনি প্রবেশই করতেন না।
নতুন করে অর্পিতার দাবি ঘিরে শোরগোল পড়েছে। তাঁর ফ্ল্যাটে বিপুল অর্থ মজুত হল, কিন্তু তিনিই জানেন না না। তাহলে কে বা কারা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত? জোকা ইএসআইতে ঢোকার মুখে সাংবাদিকদের প্রশ্নের তা স্পষ্ট করেননি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- মমতা মন্ত্রিসভায় রদবদল, বদলাবে ‘ভাবমূর্তি’, কী বললেন মুকুল রায়?
অর্পিতার এ দিনের দাবি ঘিরে রাজনৈতিক তর্জাও তুঙ্গে। রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, 'দুর্নীতিতে দাবার বোড়ে অর্পিতা। তাহলে কারা এর জন্য দায়ী? পার্থবাবুর দাবি তাঁরও ওই টাকা নয়। আসলে ইডি তদন্ত করতেই সব ফাঁস হচ্ছে। এখন দোষ ঢাকতে নানা দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু এতে কোনও লাভ নেই।' তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের কথায়, 'এখন বলে কোনও লাভ নেই। আইন আইনের পথে চলবে। আগে বললেন না কেন সেটাই প্রশ্ন। দুর্নীতি করলে তৃণমূল বরদাস্ত করবে না।'
গত ২২ জুলাই রাত থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত তল্লাশিতে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ২১ কোটি টাকা। এর দিন কয়েক বাদে বাদে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে মেলে ২৮ কোটি টাকা। এচাড়াও সোনা, রূপো ও বহু নথি উদ্ধার করেছে ইডি গোয়েন্দারা। পেশায় মডেল-অভিনেত্রী অর্পিতার কাছে কোথা থেকে বিপুল এই অর্থ এলো? তা নিয়েই প্রশ্ন।