অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়দের দাবি পৌঁছে গেল কেন্দ্রের কাছে। ১০০ দিনের কাজে 'বঞ্চিত'দের পাওনার দাবিতে সোমবার বিকেলেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। এর ২৪ ঘন্টা পার হয়নি। মঙ্গলবার সকালে তৃণমূলের বার্তা দিল্লিতে পৌঁছে দিলেন সিভই আনন্দ বোস। যা মেল করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে জানিয়েছেন খোদ রাজ্যপাল। আর তারপরই এক্স হ্যান্ডেলে আনন্দ বোসকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
কী লিখেছেন অভিষেক?
'রাজ্যের মানুষের মঙ্গলের জন্য রাজ্যপাল উদ্যোগ নেওয়ায় আমি কৃতজ্ঞ। ২১ লক্ষের বেশি মানুষের বকেয়া আদায়ে তাঁর দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রশংসার যোগ্য।'
কী ভূমিকা আনন্দ বোসের?
সোমবার বিকেলে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার ইস্যু নিয়ে বৈঠক হয় রাজ্যপালের। তারপরই সন্ধ্যার বিমানে তিনি রওনা দেন রাজধানীর উদ্দেশে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পশ্চিমবঙ্গের সিভি আনন্দ বোস। মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তাঁর অফিসে যান তিনি। সেখানেই প্রায় এক ঘণ্টা ছিলেন বোস। বেলা ১২টা নাগাদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে বেরিয়ে অবশ্য সংবাদমাধ্যমের কাছে কোনও মন্তব্য করেননি রাজ্যপাল।
বাংলার বকেয়া অর্থ আদায়ের বিষয়টি কেন্দ্রের কাছে পৌঁছে দিতে ২৪ ঘন্টা সময় চেয়েছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু তৃণমূল তাঁকে ২ সপ্তাহ সময় দিয়েছে। এরপরও দাবি না মিটলে ১ নভেম্বর থেকে জোরদার ধর্নার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে গত সপ্তাহে দু'দিন ধরে দিল্লিতে অবস্থানের পর প্রায় পাঁচদিন ধরে কলকাতায় ধরনা দেন অভিষেকরা। রাজ্যপালকে নিশানাও করেন। কিন্তু সোমবার বিকেলের পর থেকে রাজ্যপাল ইস্যুতে অন্যসুর তৃণমূলের 'সেকেন্ড ইন কমান্ডে'র মুখে। যা তাৎপর্যপূর্ণ। কিন্তু 'বঞ্চিত' কবে তাঁদের হকের টাকা পাবেন? সেই জবাব এখনও মেলেনি।
আরও পড়ুন- পার্থর অভ্যাস যায় না মোলে! এবার জেলে এমন কী চেয়ে বসলেন?
আরও পড়ুন- সৌজন্যের রাজনীতিতে চরম বিতর্ক, মমতার উপহারে বড় প্রশ্ন!