ইডি-র বিজ্ঞপ্তিতে নাম রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। গত বুধবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের 'বিবেক জাগ্রত' করার কাজে ঝাঁপিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। নাম না করে সোশাল মিডিয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে উদ্দেশ্য করে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছিলেন, 'আমি একজনের স্মৃতিকে একটু চাঙ্গা করে দিতে চাই, যিনি বারবার বলছেন তদন্তকারী সংস্থা তাঁর বিরুদ্ধে প্রমাণ দিতে পারলে তিনি স্বেচ্ছায় ফাঁসির মঞ্চের দিকে হেঁটে যাবেন। রাজ্যবাসী অবশ্য তাঁর কথাকে ধর্তব্যের মধ্যে আনেন না। ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার দরকার নেই। আপনি বরং তদন্তকারী সংস্থার অফিসে যান। আশা করি, আপনার বিবেককে জাগ্রত করতে এটুকুই যথেষ্ট।'
বসে ছিলেন না অভিষেকও। নারদ-কাণ্ডে প্রকাশিত শুভেন্দু অধিকারীর টাকা নেওয়ার সেই ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। লেখেন, 'আপনার বিবেক জাগ্রত করার জন্য এই ছবিটাই যথেষ্ট। আপনি কবে তদন্ত সংস্থার দফতরে যাবেন, জিজ্ঞাসা করতে পারি কি?' দফায় দফায় সোশাল মিডিয়া বার্তায় যুদ্ধের পর শুভেন্দু অধিকারীকে অভিষেকের চ্যালেঞ্জ ছিল, বিরোধী দলনেতা স্থান ও কাল জানিয়ে দিলে এই সব নিয়ে মুখোমুখি বিতর্ক হতে পারে।
আরও পড়ুন- র্যাগিং রুখবে ইসরো? চন্দ্রযান ৩-এর প্রধান স্থপতির সঙ্গে কী কথা রাজ্যপালের?
কৌতুহল ছিল সেই চ্যালেঞ্জ কি গ্রহণ করবেন বিরোধী দলনেতা? নিজেই জবাব দিয়েছে শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার এই ইস্যুতে তিনি বলেছেন, 'আমার তোলা প্রশ্নের জবাব উনি (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) দিতে পারেননি। অন্য দিকে চলে গিয়েছেন। ওঁর সঙ্গে বসতে যাব কেন? ওঁর যিনি আলোকবর্তিকা, যাঁর বলে উনি বলীয়ান, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার বড় যুদ্ধে বসা হয়ে গিয়েছে। মানুষ আমাকে নির্বাচিত করে পাঠিয়েছেন।'
অর্থাৎ অভিষেকের চ্যালেঞ্জ প্রত্যাখ্যান করেছেন বিরোধী দলনেতা।
আরও পড়ুন- বন্দে ভারত ‘বিপত্তি’তে খোদ রাজ্যপালও, হাওড়া স্টেশনে যাত্রী-বিক্ষোভ
নারদ-কাণ্ডে তৃণমূলের ১৩ জন সাংসদ, নেতা, মন্ত্রী বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছিল। শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, তিনি নিজের জন্য কোনও টাকা নেননি। গোটাটাই 'ষড়যন্ত্র' বলে তোপ দেগেছেন তিনি।
বিরোধী দলনেতার মন্তব্যের পরই রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন। বলেছেন, 'অভিষেক যে প্রশ্ন করছেন, তার জবাব ওঁর (শুভেন্দু অধিকারী) কাছে নেই। তাই এ সব বলছেন। তা না হলে শয়নে-স্বপনে-ভাষণে যে অভিষেকের কথা ভাবেন, তাঁর সঙ্গে বিতর্কে বসতেন।'