তিনি স্বয়ং এবং তাঁর পরিবারের দিকে নজর আছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। আগেই সেকথা জানিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার ক্যাবিনেট বৈঠকে মন্ত্রীদের সামনে ফের একবার সেকথা বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী সোমবার ক্যাবিনেট বৈঠকে বলেছেন- 'ইডি-সিবিআই তো আমার পিছনেও পড়ে রয়েছে। বাড়ির মেয়ে-বউদেরও নোটিস পাঠাতে শুরু করেছে।'
রাজ্যের একাদিক দুর্নীতি মামলার তদন্তভার সিবিআই, ইডি-র হাতে। রাজনৈতি প্রতিহাংসা চরিতার্থ করতে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে বিজেপি কাজে লাগাচ্ছে বলে সরব তৃণমূল। তার মধ্যেই কেন হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কা যে তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে নিশানা করছে ইডি, সিবিআই?
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বুধবার (২৯ মার্চ) থেকে টানা দু’দিন ধর্নায় বসছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দিনই আবার ধর্মতলায় ছাত্র যুবদের নিয়ে সভা করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা, অভিষেক স্বাভাবিকভাবেই সুর চড়াবেন মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। এদিকে বুধবারই রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটককে জেরার জন্য তলব করেছে ইডি। সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের এক সদস্যা তথা কাউন্সিলরকেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নোটিস পাঠিয়ে ২৯ মার্চই তলব করেছে।
আরও পড়ুন- কেন্দ্রের কোন প্রকল্পে সায় দিয়েও এখন হাত কামড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী?
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এহেন সময় নির্বাচন নিয়ে বঙ্গ রাজনীতিতে চর্চা চলছে। তৃণমূলের দাবি, ষড়যন্ত্র করেই দিদির ধরনার দিন কাজরীকে হাজিরার নোটিস পাঠানো হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই মন্ত্রিসভার বৈঠকে ইডি, সিবিআই নিয়ে মমতা ক্ষোভ অসন্তোষ উগরে দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
সম্প্রতি ব্যবসায়ী মনজিৎ সিং গ্রেওয়াল ওরফে জিট্টি ভাইয়ের বালিগঞ্জের বাড়ি ও দফতরে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। সূত্রের খবর, সেই তদন্তেই কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর তথা মুখ্যমন্ত্রী ভ্রাতৃবধূ কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়েকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিস পাঠিয়ে বুধবার তলব করা করা হয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে।