ভুরিভুরি দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ তৃণমূল সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাল্টা দাবি, ৩৪ বছরের বাম আমলেও অজশ্র দুর্নীতি হয়েছিল। যা প্রমাণের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিল সিপিএম নেৃতৃত্ব। তারপরই শিক্ষক দিবসের মঞ্চ থেকে মমতা ব্যাখ্যা করলেন, কেন বাম আমলের দুর্নীতি বোঝা যায় না।
শিক্ষক দিবসে রাজ্য সরকারের অনুষ্ঠান মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির প্রসঙ্গ। সেই সূত্রে আসে বাম আমলে নিয়োগ কেলেঙ্কারির কথা। ওই সময়ই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'কাজ করতে করতে মানুষ ভুল করতেই পারে। কেন তাহলে ব্যাপম কেলেঙ্কারিতে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হল না? সিপিএম আমলে একটা কাগজও আলমারিতে পাওয়া যায়নি। কিন্তু আমাদের সময় কাগজ রয়েছে। কাগজ পেয়েছেন বলেই তো ভুল ধরা গিয়েছে।'
এরপরই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বিনয় চৌধুরীর প্রসঙ্গ টেনে বাম আমলে দুর্নীতিগ্রস্ত মন্ত্রিসভার কথা তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, 'বুদ্ধদেববাবু চোরেদের মন্ত্রিসভা বলেছিলেন, বিনয়বাবুর সরকার ঠিকাদারদের দ্বারা চলছে বলেছিলেন। সবটা না হলেও কিছু কিছু মনে আছে।'
দুর্নীতি ইস্যুতে সুভাষচন্দ্র বসুর উদ্ধৃতি দাবি করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'নেতাজি বলেছিলেন ভুল করাটাও একটা অধিকার। আর অশোক গাঙ্গুলি মহাশয়ের সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক নেই। কিন্তু উনি বাম আমলে হওয়া বড় শিক্ষা দুর্নীতি থেকে সিপিএমকে বাঁচিয়েছিলেন। হতে পারে ভুল, গাদা গাদা কমিটি রয়েছে। তবে এটা বলতে পারিন যে ন্যায্য বিচার তৃণমূল আমলেই মিলবে।'
এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'আগামিতে রাজ্যে ৩০ হাজার নিয়োগ হবে। ২ লক্ষ ৬৩ হাজার শিক্ষক চাকরি পেয়েছেন, আরও ৪৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হবে। কিন্তু, জনস্বার্থ মামলার জেরে এত নিয়োগ তিন মাসে আর নয়, চাকরির প্রস্তুর জন্য এখন এক বছর লেগে যাবে। আসলে পিআইএল করে করে জীবনটাকেই পিল করে দিচ্ছে।'