/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/07/Sukanta-Majumdar-Paresh-Adhikari-Mamata-Banerjee.jpg)
সুকান্তর নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী।
'চাকরি-চুরি'র ঢাকে কাঠিটা তিনিই বাজিয়েছিলেন। হাইকোর্টের যুগান্তকারী রায়ে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়েকে এক ঝটকায় চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। কোর্টেরও পর্যবেক্ষণ ছিল মন্ত্রী পরেশ প্রভাব খাটিয়ে মেয়েকে সরকারি স্কুলে চাকরি করে দিয়েছিলেন। যদিও মন্ত্রী-কন্যা অঙ্কিতার চাকরি গিয়েছে। বেতনের প্রথম কিস্তির টাকাও ফিরিয়েছেন। দ্বিতীয় কিস্তির টাকা জমা পড়েছে হাইকোর্টে। সেই টাকাও দু'সপ্তাহের মধ্যে সেখান থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন ববিতা সরকার। তবে 'এত কিছুর পরেও যে পরেশ অধিকারীর হাত ধরে তাঁর মেয়ে স্কুলের চাকরিতে ঢুকেছিলেন, তিনি কী করে পদে বহাল রয়েছেন', প্রশ্ন তুললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
West Bengal MoS Education Paresh Adhikari misused his office and appointed his daughter as a teacher in govt school.
High court removed her in illegal appointment but he still continues to be the Minister.
When will @MamataOfficial take action against him? She has to answer. pic.twitter.com/nx8VyT9VcX— Dr. Sukanta Majumdar (@DrSukantaBJP) July 29, 2022
টুইটে রাজ্য বিজেপির এই শীর্ষ নেতা লিখেছেন, ''পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী তাঁর পদের অপব্যবহার করেছেন। তাঁর মেয়েকে সরকারি স্কুলে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। অবৈধ নিয়োগে হাইকোর্ট তাঁকে অপসারণ করলেও তিনি এখনও মন্ত্রী হিসেবে বহাল আছেন। কখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন? তাঁকে উত্তর দিতে হবে।''
আরও পড়ুন- SSC দুর্নীতির তদন্তে ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে ED, অভিষেককে সঙ্গে নিয়ে দিল্লি যাচ্ছেন মমতা
উল্লেখ্য, আদালতের নির্দেশে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার ফেরানো প্রথম কিস্তির টাকা ইতিমধ্যেই পেয়েছেন ববিতা সরকার। ববিতাকে বঞ্চিত করেই পরেশ-কন্যা অবৈধভাবে স্কুলের চাকরিতে ঢুকেছিলেন বলে অভিযোগ।
হাইকোর্টের নির্দেশে মন্ত্রী কন্যা অঙ্কিতা তাঁর বেতনের দ্বিতীয় কিস্তির টাকাও সুদ-সহ কলকাতা হাইকোর্টে জমা দিয়েছেন। এবার সেই টাকাও দু'সপ্তাহের মধ্যে আদালত থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন ববিতা। জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় কিস্তি বাবদ অঙ্কিতা আদালতে মোট ৭ লক্ষ ৯৬ হাজার ৪২১ টাকা ফেরত দিয়েছেন।