নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে 'কালীঘাটের কাকু'। গত তিন মাসের বেশি সময় ধরে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ইডি। এমনকী এসএসকেএমের সুপার পীযূষকুমার রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে অভিযোগও জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। হাসপাতালের সুপার 'কাকু'র মেডিক্যাল রিপোর্টে কারচুপি করেছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। এরপরই, 'কাকু'র চিকিৎসা সংক্রান্ত সব রিপোর্ট আগামী ৫ জানুয়ারির মধ্যে এসএসকেএমের থেকে চেয়ে পাঠিয়েছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি কেন দুর্নীতিতে নাম থাকা সুজয়কৃষ্ণকে এসএসকেএমের মত নামজাদা সরকারি হাসপাতালে ঠাঁই দেওয়া হচ্ছে, এই প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। এবার 'কালীঘাটের কাকু'র বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করল বিজেপি।
গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, গুরুতর অসুস্থ না হয়েও এসএসকেএম হাসপাতালে শয্যা দখল করে রয়েছেন 'কালীঘাটের কাকু'। এদিন উচ্চআদালতের তরফে এই মামলায় সব পক্ষকে নোটিস দিতে বলা হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
গত ২০ ডিসেম্বরে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলায় মামলাকারী আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকারের দাবি, 'চিকিৎসার প্রয়োজন নেই অথচ ওই হাসপাতালে প্রভাবশালীরা শয্যা দখল করে রেখেছেন। সেখানে তাঁদের ভণ্ড চিকিৎসা চলছে। অসুস্থ সাধারণ মানুষ শয্যা পাচ্ছেন না। আশঙ্কাজনক রোগীরাও উপযুক্ত চিকিৎসা পাচ্ছেন না। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুজয়কৃষ্ণের মেডিক্যাল রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হোক। তা যাচাই করা হোক কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও হাসপাতালকে দিয়ে।