/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/18/1000205706-2025-08-18-19-20-35.jpg)
Malda news : এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল।
কোদাল দিয়ে মাথা থেঁতলে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে স্বামীকে খুন করার অভিযোগ উঠলো দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী এবং সৎ ছেলের বিরুদ্ধে। যদিও রবিবার গভীর রাতে এই ঘটনার পর অপরাধে ব্যবহৃত অস্ত্রগুলি নিয়েই সরাসরি ইংরেজবাজার থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন অভিযুক্ত ওই গৃহবধূ দয়া দাস এবং তার সাবালক ছেলে বিক্রম মণ্ডল। ঘটনাটি ঘটেছে ইংরেজবাজার পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের নরসিংহকুপ্পা এলাকায় ।
সোমবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হতে রীতিমতো গোটা এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। রাতেই মৃত দেহটি উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পারিবারিক অশান্তির কারণেই এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম যদুভূষণ দাস (৪০)। পেশাই মুদিখানার দোকানী ওই ব্যক্তিকেই তার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী দয়া দাস এবং সৎ ছেলে বিক্রম মন্ডল শোবার ঘরে কুপিয়েই খুন করেছে।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত মহিলা ও তার ছেলে জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই তারা যদুভূষণ দাসের অত্যাচারের শিকার হয়ে আসছিল। প্রতিদিন মদ খেয়ে বাড়িতে এসে অত্যাচার করার মারধর করা চলছিল। এমনকি তাদের ঠিকমতো খেতে দেওয়া হতো না । দিনের পর দিন অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই এদিন রাগের মাথায় যদুভূষণকে তারা দুজন মিলেই কুপিয়ে খুন করে।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ওই ব্যক্তিকে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় হাত - পা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। তারপরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথা থেতলে এবং কুপিয়ে খুন করা হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনায় মৃতের প্রতিবেশী অনিতা মন্ডল, প্রতিমা মন্ডল জানিয়েছেন, এর আগে যদুভূষণ দাসকে কখনোই মানুষের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে দেখা যায় নি । বছর কয়েক আগে যদুভূষণের প্রথম পক্ষের স্ত্রী মারা যায়। এরপরেই দয়া দাস নামে সম্পর্কিত এক বিধবা বৌদিকে বিয়ে করে যদুভূষণ। কিন্তু ওদের পরিবারে সাংসারিক গোলমাল ছিল । তা বলে সেটা খুনে পরিণত হবে সেটাও ভেবে পাচ্ছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা।
২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল দলের কাউন্সিলর সুজিত সাহা জানিয়েছেন, সোমবার সকালে বিষয়টি জানতে পারি। ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। যতটুকু শুনেছি ওই ব্যক্তি নেশা করতো এনিয়ে তাদের পরিবারে অশান্তি চলছিল।
ইংরেজবাজার থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত মহিলা ও তার ছেলে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে এবং তারা এই খুনের ঘটনার কথাও স্বীকার করেছে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।