সোমবার ধর্মতলায় ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে মারাত্মক আশঙ্কার কথা শোনালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, 'কালকে আমাকে একজন মেসেজ দিয়েছে, অভিষেককে ভোটের আগে গ্রেফতার করা হবে।' এই প্রসঙ্গেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তথা ইডির তল্লাশির কথাও তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগে এদিন ওই মঞ্চে বক্তৃতা দেন অভিষেক। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে ইডি-র তল্লাশি, অফিসের কম্পিউটারে ১৬টি ফাইল ডাউনলোড। এসবের নেপথ্যে 'ষড়যন্ত্র' রয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। একই অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন, 'কেন দেখেননি আপনারা কী করছে ওঁরা। নিজেরা ইচ্ছে মতো অভিষেকের অফিসে ঢুকেছে। কাউকে কিছু বলার প্রয়োজন মনে করেননি। নিজের ইচ্ছামতো ঢুকে গিয়েছি, যা খুশি করছে। অভিষেকের কম্পিউটার থেকে সব ফাইল বের করে নিয়েছে। তারপর নিজেরা কতগুলি ফাইল তৈরি করে নিয়ে গিয়েছে। আর সেগুলো ওখানে ভরে দিয়েছে। তোমরা যদি কম্পিউটার ওস্তাদ হও। তাহলে আমরাও মাস্টার। আমরা সব বের করে নিয়েছি একেবারে টাইম ধরে।'
লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে কম্পিউটারে ফাইল ডাউনলোড করার ব্যাপারে ওই সংস্থার এক কর্মচারী পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। মমতা এদিন দাবি করেন, 'সেই কর্মচারীকেও ধমকি দেওয়া হচ্ছে। তাঁকে গ্রেফতার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে।'
লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে কম্পিউটারে ফাইল ডাউনলোড করার ব্যাপারে ওই সংস্থার এক কর্মচারী পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। মমতা এদিন দাবি করেন, 'সেই কর্মচারীকেও ধমকি দেওয়া হচ্ছে। তাঁকে গ্রেফতার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে।'
গত সোমবার লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের দফতরে ম্যারাথন তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। তারপরই কেন্দ্রীয় এজেন্সির তরফে প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। তাতে দাবি করা হয় যে, অভিষেকই হলেন লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার তথা সিইও। তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে লেখালেখি শুরু হয়। একাংশ টিভি চ্যানেলে বিতর্কের আসর বসে। এতেই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। এপ্রসঙ্গে মিডিয়া ট্রায়ালের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তাঁর দাবি, শুধু রাজনীতিকরা দুর্নীতিপরায়ণ নন, সাংবাদিকরাও অনেকে দুর্নীতিপরায়ণ।
আরও পড়ুন- তাঁর বিদেশযাত্রা ঘিরে ‘বিতর্ক’, জল ঢালতে গিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য অভিষেকের