প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছিল হাওয়া অফিস। কিন্তু সময় যত এগোচ্ছে ততই শক্তি হারাচ্ছে নিম্নচাপটি। ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগের (আইএমডি) পূর্বাভাস, বঙ্গোপসাগরে একটি নিন্মচাপ ঘনিভূত হয়েছে। তবে তেমনভাবে শক্তি সঞ্চয় করতে পারছে না। বর্তমানে বাংলা বা পূর্বভারতের উপকূলীয় অংশে তেমন বৃষ্টি বা ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভবনা নেই। নিম্নচাপটি শক্তি সঞ্চয় করলে পরে তা বাংলাদেশের খেপুপাড়ায় আছড়ে পড়তে পারে।
আইএমডির দেওয়া তথ্য অনুসারে সোমবার সকালে নিম্নচাপটি ওডিশার পারাদ্বীপ থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণে, পশ্চিমবঙ্গের দীঘা থেকে ৫৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ৬৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে গভীর নিম্নচাপ হিসাবে অবস্থান করছিল। এখনও পর্যন্ত এই নিম্নচাপের যা গতিপ্রকৃতি তাতে হামুন বাংলাদেশের উপকূলের কাছাকাছি আসার সঙ্গে সঙ্গে দুর্বল হয়ে পড়বে। বুধবার খেপুপাড়া ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে দিয়ে হামুনের অতিক্রম করার কথা রয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুসারে, বঙ্গোপসাগরে বর্তমানে তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপের কারণে নবমী ও দশীতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নিম্নচাপের জেরে সোমবার থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে কলকাতা সহ পাঁচ জেলায়। নবমীর দিন কলকাতার পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া এবং হুগলি জেলার বিক্ষিপ্ত এলাকায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়াও পূর্ব মেদিনীপুর, দুইঘবর্ণিঝড় ২৪ পরগনা জেলার কয়েকটি জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা।
তবে, এই বষ্টির তেজ তেমন না থাকায় উৎসবমুখী জনতার মণ্ডপ দেখার ভিড়ে তেমন প্রভাব পড়বে না বলেই মনে করা হচ্ছে। সুতরাং, বৃষ্টির ভয়ে বাড়ি না থেকে নবমীনিশিতে বেরিয়ে পড়ুন। চুটিয়ে আনন্দ করুন।