পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরের ওপর তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি গত ৬ ঘন্টায় ১৮ কিলোমিটার বেগে উত্তর-পূর্ব দিকে সরে গেছে। প্রায় ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্বে পারাদ্বীপ (ওড়িশা), দিঘা (পশ্চিম) থেকে ৪১০ কিলোমিটার দক্ষিণে বাংলা এবং খেপুপাড়া (বাংলাদেশ) থেকে ৫৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। পরবর্তী তিন ঘণ্টার মধ্যে এটি একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। আর উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে সরে গিয়ে খেপুপাড়া এবং বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে। যার ফলে, ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে চট্টগ্রামে গভীর নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে।
এর ফলে, উত্তরবঙ্গের মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের এক বা একাধিক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে প্রধানত শুষ্ক আবহাওয়া থাকতে পারে। উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলায় দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। ২৫ অক্টোবর বুধবার, দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলার এক বা দুটি জায়গায় খুব হালকা থেকে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে প্রধানত শুষ্ক আবহাওয়া থাকতে পারে। বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর- উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে প্রধানত শুষ্ক আবহাওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি।
পাশাপাশি, দক্ষিণবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণের কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি, হাওড়া এবং কলকাতা জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলোয় থাকবে শুষ্ক আবহাওয়া। এর পাশাপাশি, কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক বা দুই জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়-বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণার এক বা দুই জায়গায় ভারী বৃষ্টি (৭-১১ সেমি) হতে পারে। এছাড়া পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন- এবার ‘নো ভোট টু মমতা’, শুভেন্দু-সন্ময়ের হাতে হাত রেখে স্লোগান কৌস্তভের
এর সঙ্গে, কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্বে এক বা দুই জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া ও হুগলি জেলাতেও বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। এই পরিস্থিতি থাকবে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত। এমনটাই জানিয়েছেন, আলিপুর দফতরের আবহাওয়া বিজ্ঞানী ড. জিকে দাস।