২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে নিজেদের জমি মজবুত করতে মরিয়া রাজ্য বিজেপি। রথযাত্রা নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে অশান্তি চরমে। এইরকম পরিস্থিতিতে সোমবার রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়ে দিলেন রথযাত্রায় বাধা দিলে হাইকোর্টে যাবেন তাঁরা।
দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, "রাজ্য সরকারকে আমরা রথযাত্রার ব্যাপারে বিশদে জানিয়েছি, আলোচনার জন্য সময় চেয়েছি কিন্তু আমাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রথযাত্রার অনুমতি না পেলে এবার আমরা আদালতে যাওয়ার কথা ভাবছি।
বীরভূমের তারাপীঠ থেকে ৫ ডিসেম্বর প্রথম রথযাত্রার পরিকল্পনা রয়েছে বিজেপির। কোচবিহার এবং কাকদ্বীপ থেকে রথযাত্রার পরিকল্পনা রয়েছে ৭ এবং ৯ ডিসেম্বর। রথের প্রধান উদ্দেশ্যই হল ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে সাধারণের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন। সেই লক্ষ্য পূরণ করতে প্রতিদিন যাত্রাপথে তিন ধরনের সভার আয়োজন করা হবে। সেই সভায় দলের নানা স্তরের নেতৃত্ব বক্তৃতা দেবেন। রথ চলাকালীন রাজ্য নেতৃত্ব পালা করে তাতে যোগ দেবেন, পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও দফায় দফায় রাজ্যে আসবেন।
আরও পড়ুন, রথের চাকায় পিষতে চাওয়া লকেটকে প্রশাসনিক পদক্ষেপের হুমকি পার্থর
"আমরা রথযাত্রা বের করব বলে রাজ্য সরকার এবং রাজ্য তৃণমূল ভয় পেয়েছে। আমাদের বাধা দেওয়া হলে এবার কলকাতা হাইকোর্টে যাব। প্রয়োজনীয় নথি যা যা আদালতে জমা দিতে হবে, তৈরিই রেখেছি আমরা", জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। উল্লেখ করেছেন এর আগেও কলকাতায় সভা করার সময় রাজ্য সরকার অনুমতি না দেওয়ায় আমাদের আদালতে যেতে হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, সোমবার ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে পিয়ালি পাল এবং উমা শংকর রায় যোগ দিলেন বিজেপিতে। আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁদের দলে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি।
রাজ্য বিজেপির আদালতে যাওয়ার প্রসঙ্গে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, "বিজেপি লোক আদালতে নেই, তাই উচ্চ আদালতে যেতে হচ্ছে। কিন্তু ওদের বুঝতে হবে রথযাত্রা করেই বাংলায় নিজেদের জমি করতে পারবে না বিজেপি"।
রথযাত্রা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, "ওরা যে রথযাত্রার কথা বলছে, সব তো বিলাসবহুল পাঁচতারার রথ। সবটাই দেখানো। আগে যেমন রাম-এর নামে ভোট চাইত"।
Read the full story in English