বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সময় তৃণমূল নেত্রী বলেছিলেন, ক্ষমতায় ফিরলে বিধান পরিষদ গঠন করবে রাজ্য সরকার। যাঁরা টিকিট পাননি, এমন যোগ্যদের বিধান পরিষদে পাঠাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটে জিতেই কথা রাখলেন মমতা। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিলমোহর পড়ল বিধান পরিষদ গঠনের প্রস্তাবে।
সোমবার নারদ কাণ্ডে ধৃত ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়দের জন্য সিবিআইয়ের দফতর নিজাম প্যালেসে চলে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। ফলে মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি হাজির থাকতে পারেনিন। তবে টেলিফোনে মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকের নীতিমালায় অনুমোদন দেন তিনি।
এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন পায় বিধান পরিষদ গঠনের প্রস্তাব। এদিন প্রস্তাবে অনুমোদন মেলায় এবার বিধানসভায় এই সংক্রান্ত বিল আলবে রাজ্য সরকার। তারপর রাজ্যপাল ও পরে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর পেলেই গঠিত হবে বিধান পরিষদ। প্রসঙ্গত, বিধানসভার এক তৃতীয়াংশ আসন থাকবে বিধান পরিষদে।
সেই ১৯৬৯ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা থেকে বিলুপ্ত হয় বিধান পরিষদ। যুক্তফ্রন্ট সরকারের আমলে তুলে দেওয়া হয় সেই ব্যবস্থা। তারপর ৫০ বছর অতিক্রান্ত। কিন্তু বিধান পরিষদ ফেরেনি বিধানসভায়। অর্ধ শতক পর তা ফিরছে রাজ্য বিধানসভায়। উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, বিহারের মতো এবার বাংলাতেও হবে বিধান পরিষদ।