এবার বিচার বিভাগের 'অতি সক্রিয়তা' নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যেপাধ্যায়। গতকালই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রয়োজন মনে হলে ইডি বা সিবিআই তৃণমূল সাংসদকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পারে বলে জানিয়েছিলেন বিচারপতি। তাঁর ওই মন্তব্যের ঠিক পরের দিনেই বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিচার বিভাগের 'অতি সক্রিয়তা' নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিতর্ক বাড়ালেন।
ঠিক কী বলেছেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়?
শুক্রবার সংবিধান রচয়িতা বি আর আম্বেদকরের জন্মদিনের কর্মসূচিতে যোগ দেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'প্রত্যেকেরই নিজের নিজের প্রেক্ষাপটে থেকে কাজ করা উচিত। প্রশাসনের কাজ যেমন প্রশাসন করবে তেমনই বিচার বিভাগেরর কাজও বিচার বিভাগের করা উচিত। আদালত সব ব্যাপারে নিজেকে সুপ্রিম মনে করলে তা গণতন্ত্রের পক্ষে ভালো হবে বলে মনে করি না।'
আরও পড়ুন- চাঁদিফাটা গরম তুঙ্গে তুলবে অস্বস্তি! আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তায় ঘুম ওড়ার জোগাড়!
অধ্যক্ষ আরও বলেন, ''উনিই যদি বলে দেন অমুককে ডাকা উচিত। কাল হয়তো বলবেন বিধানসভার অধ্যক্ষকে ডেকে পাঠানো হোক। সেটা তো বাঞ্ছনীয় নয়। বার্তাটা এমন যাতে না যায়, যে আদালত পক্ষ নিচ্ছে। আগে ওকে এটা উপলব্ধি করতে হবে।'' বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি কারও নাম নিয়ে এই মন্তব্য করেননি। তবে তাঁর ইঙ্গিত কিন্তু বেশ বার্তাবাহী।
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে এর আগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, প্রয়োজনে এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও জেরা করতে পারবে ইডি ও সিবিআই। তবে শুনানির পরে বিচারপতির নির্দেশে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করার কথার উল্লেখ ছিল না। শুধু পর্যবেক্ষণে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রয়োজনে ইডি, সিবিআইয়ের জেরার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন- পাহাড় কোলের স্নিগ্ধ-শীতল ছোট্ট জনপদ, চোখ মেললেই দেখা যায় সুন্দরী কাঞ্চনজঙ্ঘা
তবে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের অভিষেককে জড়িয়ে মন্তব্যে বেজায় চটেছে তৃণমূল। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ গতকালই কারও নাম নিয়ে টুইটে লিখেছিলেন, ''যেভাবে কোনো ক্ষেত্রে বিচারপতির আসনের অপব্যবহার করে রাজনীতি করা হচ্ছে, বিরোধীদের অক্সিজেন দিতে নিজের উইশ লিস্ট বলা হচ্ছে, নিজেকে ব্যক্তি প্রচারে হিরো সাজানোর চেষ্টা চলছে, তাতে বিচারব্যবস্থার সম্মান ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। ওই চেয়ারটা ছেড়ে সরাসরি রাজনীতিতে আসুন।''