কাটমানি নিয়ে বিগত কয়েকদিনে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। কাটমানি ফেরত চাওয়া নিয়ে এবার মারাত্মক অভিযোগ সামনে এল। কাটমানির টাকা ফেরত চাওয়ায় এক মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়িতে। এ ঘটনায় অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছেন স্থানীয় এক পঞ্চায়েত সদস্য। সোমবার ময়নাগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও ওই পঞ্চায়েত সদস্য-সহ ৪ অভিযুক্ত এখনও পলাতক বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
ঠিক কী অভিযোগ?
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, গীতাঞ্জলি আবাস যোজনায় নির্যাতিতাকে বাড়ি তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে মহম্মদ বুলবুল আলমের বিরুদ্ধে। রাজ্যে সরকারের এই প্রকল্পে গরিবদের বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হয়। এজন্য মহিলার কাছে কাটমানি বাবদ ৭ হাজার টাকা নেন বলে অভিযোগ আলমের বিরুদ্ধে। কিন্তু বাড়ি তো তৈরি করে দেওয়া হয়ইনি। তাছাড়া টাকাও ফেরত পাননি বলে দাবি করেছেন নির্যাতিতা। এরপর থেকেই অভিযুক্তকে টাকা ফেরতের জন্য বারবার চাপ দিতেন মহিলা।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের মতো সংগঠিত সন্ত্রাস বাম আমলেও দেখিনি: শোভন
অভিযোগপত্রে জানানো হয়েছে, গত ১৪ অগাস্ট টাকা ফেরতের কথা বলে ওই মহিলাকে একটি জায়গায় ডেকে পাঠান আলম। সেখানেই ওই মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে আলম ও তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গোর বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর মহিলাকে মুখ বন্ধ রাখতে হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। শেষমেশ এ ঘটনা পরিবারের সদস্যরা জানার পর তাঁরাই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: চরম ক্ষুব্ধ বৈশাখী! ‘বিজেপিতে আর পা-ই রাখতাম না, শুধু শোভনবাবুর জন্যই আসছি’
এ ঘটনা প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ির এক শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি। নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে। মেডিক্যাল রিপোর্ট দেখব আমরা। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে’’।
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের কাটমানির টাকা ফেরতের নির্দেশ দিয়েছিলেন স্বয়ং তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলনেত্রীর এহেন নির্দেশের পরই বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে কাটমানির টাকা ফেরতের দাবিতে ‘নজিরবিহীন’ ভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শন চলে। বহু তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। কাটমানি ইস্যুকে হাতিয়ার করে আসরে নেমেছে বিজেপি। সেই প্রেক্ষিতে কাটমানি নিয়ে এমন অভিযোগ গুরুতর বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
Read the full story in English