লক্ষাধিক টাকা ও গয়নার লোভ দেখিয়ে তরুণীকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল দুর্গাপুরে। এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু কেন তরুণীকে অপহরণের চেষ্টা করা হল, সে নিয়েই ধন্দ বাড়ছে। এর পিছনে কি নরবলির উদ্দেশ্য ছিল? এ প্রশ্নই তাড়া করে বেড়াচ্ছে। তরুণীর এক জ্যাঠতুতো দাদাই দাবি করেছেন, ‘‘সামনের কৌশিকী অমাবস্যাতে হয়তো বলি দেওয়ার পরিকল্পনা করছিল অভিযুক্তরা’’। এ ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ঠিকাদারের অধীনে কাজ করতেন বছর একুশের এক তরুণী। মোটা টাকা আর সোনার গয়না দেওয়ার লোভ দেখিয়ে প্রায়শই তাঁকে জনা দুয়েক ব্যক্তি প্রলোভন দিতেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি বাড়ি থেকে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে তরুণীর উপর নজরদারি চাালত ধৃতরা, এ তথ্যও জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ, প্রতিবাদ মিছিল দুর্গাপুর এনআইটির গবেষকদের
৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ছবি: অনির্বাণ কর্মকার।
মঙ্গলবার সন্ধেয় দুর্গাপুর নগর নিগমের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের অধীন অঙ্গদপুরের বাসন্তী পল্লিতে ওই তরুণীর বাড়িতে আসেন সমীর বিশ্বাস, নারায়ণ বিশ্বাস ও জ্যোৎস্না নামের এক মহিলা। তরুণীর বাবাকে বলা হয়, যদি তাঁদের হাতে মেয়েকে তুলে দেওয়া হয় তাহলে লাখ সাতেক টাকা আর বেশ কয়েক ভরি সোনা দেওয়া হবে। এতে রাজি হয়নি পরিবার। কিন্তু বারবার বিরক্ত করায় শেষ পর্যন্ত ওই তরুণীর বাবা তিনজনকে বসিয়ে রেখে স্থানীয় ক্লাবের সদস্যদের ডেকে পাঠান। এরপর ক্লাবের সদস্যরা আটকে রাখেন ওই তিনজনকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় কাউন্সিলর স্বরূপ মণ্ডল ও কোকওভেন থানার পুলিশ। এরপরই অভিযুক্তদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
থানায় নিয়ে এসে অভিযুক্তদের রাত সাড়ে বারোটা পর্যন্ত চলে ম্যারাথন জেরা। এরপর লিখিত অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। অভিযুক্ত তিনজনের মধ্যে সমীর বিশ্বাস কোকওভেন থানার অন্তর্গত বীরভানপুরেই থাকেন। বাকি দু’জন নদিয়ার বাসিন্দা বলে অসমর্থিত সূত্রের খবর। অন্যদিকে পুলিশ জানিয়েছে, পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দুর্গাপুরের সব খবর পড়ুন এখানে