মধ্যযুগীর বর্বরতার চরমতম নিদর্শন। অমানবিক-অকথ্য অত্যাচারের মুখে পড়তে হল এক গৃহবধূকে। পরকীয়ার অভিযোগে গ্রামের মোড়লদের নিদানে হাত বেঁধে মাথার চুল কেটে চরম 'শাস্তি' মহিলাকে। লজ্জায়-অপমানে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে আশ্রয় মহিলার। থানায় অভিযোগ দায়ের। তদন্তে নেমে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং। এক গৃহবধূ পরকীয়ায় লিপ্ত বলে অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই শ্বশুরবাড়িতে চরম লাঞ্ছনার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। মারধর, হুমকি, শাসানি বাদ যায়নি কিছুই। মহিলার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনই বিষয়টি গ্রামের মাতব্বরদের কানে তোলেন।
আরও পড়ুন- তুমুল বৃষ্টির পূর্বাভাস জেলায়-জেলায়, তুফানি এই দুর্যোগ কাটবে কবে?
গ্রামের মাতব্বরদের ভয়ঙ্কর নিদানের মুখে পড়তে হয় মহিলাকে। গৃহবধূর হাত পিছনের দিক থেকে বেঁধে ফেলা হয়। বেধড়ক মারধরের পর তাঁর মাথার চুল কেটে 'শাস্তি' দেওয়া হয়। গ্রামের মোড়লদের সঙ্গেই এই কাজে সরাসরি যোগ ছিল মহিলার স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদেরও।
আরও পড়ুন- র্যাগিং রুখবে ইসরো? চন্দ্রযান ৩-এর প্রধান স্থপতির সঙ্গে কী কথা রাজ্যপালের?
এদিকে, শ্বশুরবাড়ির পাড়ায় চরম এই অপমান সহ্য করতে না পারে লজ্জায় বাপের বাড়িতে ফিরে আসতে বাধ্য হন ওই মহিলা। বর্তমানে বাপের বাড়িতেই রয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে ক্যানিং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই গৃহবধূ। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করে ক্যানিং থানার পুলিশ। নির্যাতিতা ওই গৃহবধূর স্বামী-সহ মোট দু'জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।