চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জন শোভাযাত্রা ঘিরে বিতর্ক বাধল। রবিবার ছিল জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জন শোভাযাত্রা। সেদিনই হেনস্থার অভিযোগ তুললেন ওই শহরেরই আদালতের এক বিচারক। বিসর্জনের শোভাযাত্রা চলাকালীন চন্দননগর আদালতের বিচারক চন্দ্রাণী চক্রবর্তীকে হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে একটি পুজো কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অফিসের গাড়িতে করে স্বামীর সঙ্গে যাচ্ছিলেন চন্দ্রাণীদেবী। গাড়িতে ছিলেন তাঁর দুই নিরাপত্তারক্ষীও। জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জন শোভাযাত্রার জেরে জি টি রোডে যানজট ছিল। গাড়ি থেকে নেমে ওই বিচারকের নিরাপত্তা রক্ষীরা রাস্তা ফাঁকা করার চেষ্টা করতে যান। সেসময়ই শোভাযাত্রায় তাঁদেরকে হেনস্থা করা হয়। এমনকি, চন্দননগর আদালতের ওই বিচারককে গাড়ি থেকে টেনে বের করারও চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন, পুলিশ-প্রশাসন সংঘাতে অশান্ত রামপুরহাট, বিব্রত রাজ্য সরকার
চন্দননগর পুলিশের কাছে ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করেছেন চন্দ্রাণীদেবী। অভিযোগপত্রে তিনি জানিয়েছেন যে, মানকুণ্ডু নতুনপাড়া পুজো কমিটির কয়েকজন সদস্য তাঁকে গাড়ি থেকে টেনে বের করার চেষ্টা করেন। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলায় পরে।
এ ঘটনা প্রসঙ্গে ডিসি বৈভব তিওয়ারি জানিয়েছেন, ‘‘আমরা বিচারকের থেকে অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনার তদন্ত চলছে। কেউ দোষী হলে, আইন অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ অন্যদিকে, বিসর্জন শোভাযাত্রায় যাঁরা অংশ নিয়েছিলেন, তাঁরা মদ্যপ ছিলেন বলে দাবি করেছেন এক প্রত্যক্ষদর্শী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি বলেন যে, সেদিন বিসর্জনের শোভাযাত্রায় অনেকেই মদ্যপ ছিলেন।
Read the full story in English