রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে বেনজির দুর্নীতি এখনও জোর চর্চায়। নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলা চলছে হাই কোর্টে। এরই মধ্যে বেনিয়ম করে চাকরি পাওয়া 'শিক্ষক'দের নামের একটি তালিকা সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে। সেই তালিকায় নাম থাকা এক শিক্ষিকারই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত টুম্পারানি মণ্ডল নন্দীগ্রামের দেবীপুর মিলন বিদ্যাপীঠের বাংলার শিক্ষিকা ছিলেন। রবিবার সন্ধেয় চণ্ডীপুর থানার সরিপুর গ্রামের ভাড়াবাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়। ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে নবম-দশম শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগে টুম্পারানি মণ্ডল নামে ওই মহিলা চাকরি পেয়েছিলেন। ২০১৯ সালে নন্দীগ্রামের ওই হাইস্কুলে তিনি শিক্ষিকা পদে যোগ দেন।
আরও পড়ুন- ঠান্ডার কামড় বজায় বঙ্গে, শীতের জমাটি ব্যাটিং শুরু কবে থেকে? জানুন সর্বশেষ আপডেট
মৃতার এক আত্মীয় জানান, নবম-দশমের স্কুল শিক্ষকদের তথ্য যাচাই সংক্রান্ত একটি তালিকা কয়েক দিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেই তালিকায় টুম্পারানির নাম ছিল। তার জেরে তিনি মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। শনিবার স্কুলেও যাননি তিনি। তারপর রবিবার সন্ধেয় এই ঘটনা।
টুম্পারানির বাপের বাড়ি চণ্ডীপুরের বুরুন্দা গ্রামে। ২০১৪ সালে ডিহি কাশিমপুর গ্রামের সুবীর বড়ুয়ার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। ওই দম্পতি চণ্ডীপুর বাজার সংলগ্ন সরিপুর গ্রামের ভাড়াবাড়িতে থাকতেন। বিকেলে সুবীর চণ্ডীপুর বাজারে চা খেতে গিয়েছিলেন। তাঁর স্ত্রী টুম্পারানি বাড়িতে একাই ছিলেন। সন্ধেয় সুবীর বাড়ি ফিরে ডাকাডাকি করেও স্ত্রীর সাড়া পাননি। পরে ঘরের মধ্যে তাঁর দেহ ঝুলতে দেখেন তিনি। চণ্ডীপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।