Malda News: নিজের নাবালক ছোট দেওরকে অপহরণ করে শ্বশুরবাড়িতে ২ লক্ষ টাকার মুক্তিপনের দাবি বউদির। এমনকী হাত-পা বেঁধে নাবালক ওই পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রকে অপহরণের পর ভিডিওকলে নৃশংস অত্যাচারের দৃশ্য দেখানো হয় বলেও অভিযোগ। অবিলম্বে মুক্তিপনের টাকা না দিলে খুনেরও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
শুক্রবার বিষয়টি জানাজানি হতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে মালদায়। নাবালক ছাত্রকে নৃশংস অত্যাচারের ছবির ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যদিও এব্যাপারে ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে অপহৃত ছাত্রের পরিবার। কিন্তু পুলিশ এখনও পর্যন্ত ওই ছাত্র-সহ অপহরণকারীদের কোনও সন্ধান পায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংরেজবাজার থানার যদুপুর গ্রামের বাসিন্দা পঞ্চম শ্রেণীর ওই নাবালক ছাত্রের নাম বাজিম শেখ (১০) । ওই নাবালক স্থানীয় যদুপুর হাইস্কুলে পাঠরত। তারা ছয় ভাই। বাড়ির ছোটো ছেলে বাজিম। তার বাবা বাশির শেখ পেশায় দিনমজুর। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই অপহরণের ঘটনায় ওই পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রের এক বউদি যুক্ত রয়েছে। সেই মহিলা বিহারের কাটিহারে নিজের ছোট দেওরকে তুলে নিয়ে গিয়ে দুই লক্ষ টাকা মুক্তিপনের দাবি করেছে।
আরও পড়ুন- Mukul Roy: চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন? এখন কেমন আছেন মুকুল রায়?
অপহৃত ছাত্রের এক দাদা সেলিম শেখ বলেন, "আমাদের সেজ ভাই হালিম শেখ ভিন রাজ্যে কাজে রয়েছে। তার স্ত্রী জাহিদা খাতুন এই অপহরণের ঘটনাটি ঘটিয়েছে। বৌদি জাহিদা খাতুনের বাবার বাড়ি বিহারের কাটিহারে। গত ৮ জুলাই নিজের ছোট দেওর বাজিমকে সঙ্গে করে কাটিহারে যায় জাহিদা। এরপরই মোবাইলে ফোন করে দুই লক্ষ টাকার মুক্তিপণ দাবি করে। সেই টাকা দিতে না পারায় ছোট ভাই বাজিমকে হাত-পা বেঁধে অত্যাচারের ভিডিও ছবি রীতিমতো আমাদের কাছে পাঠাতে শুরু করেছে। আমাদের পরিবারটি অত্যন্ত গরিব। এত টাকা একসঙ্গে কোথায় পাব বুঝতে পারছি না। টাকা না দিলে ওরা ছোট ভাই বাজিমকে খুন করে দেওয়ারও হুমকি দিয়েছে।"
আরও পড়ুন- Kunal Ghosh-Arnab Dam: একদা মাওবাদী নেতা অর্ণবের পাশে কুণাল, শিক্ষামন্ত্রী-কারামন্ত্রীর সঙ্গে কথা
পুলিশ জানিয়েছে, কাটিহারে একা যাবে না বলেই সেই ছোট দেওর বাজিমকে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিল। এর পরই অপহরণের পরিকল্পনা করে শ্বশুরবাড়িতে দুই লক্ষ টাকার দাবি করেছে অভিযুক্ত মহিলা জাহিদা খাতুন। মোবাইলের সূত্র ধরেই পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। পাশাপাশি কাটিহার জেলার পুলিশের সঙ্গেও এব্যাপারে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।