উদ্ভাবনী শক্তির কাহিনী শোনাল ১২ বছরের বিস্ময় বালক। বাকরুদ্ধ হয়ে শুনলেন আগামীর ইঞ্জিনিয়াররা।
জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে সোমবার বসেছিল চাঁদের হাট। উত্তরপূর্ব ভারতের কলেজগুলির মধ্যে এই ধরনের অনুষ্ঠান এই প্রথম। টেকনিক্যাল এনটারটেইনমেন্ট অ্যান্ড ডিজাইন শাখা আয়োজিত টেড-এক্স অনুষ্ঠানে যোগ দিল ১২ বছরের বিস্ময় বালক হাজিক কাজী, সঙ্গে ছিলেন নাগরিক এবং রাজনৈতিক অধিকারের পক্ষে লড়াই করা মণিপুরের 'লৌহ মানবী' শর্মিলা চানু সহ সমাজের একগুচ্ছ সফল মানুষ।
সকলেই তাঁদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন আগামীর ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের বিভিন্ন কলেজের টেকনিক্যাল এনটারটেইনমেন্ট অ্যান্ড ডিজাইন এর পড়ুয়ারা।
আরো পড়ুন: ভক্তির ঠেলায় লুপ্তপ্রায় কচ্ছপ ফিরল জলপাইগুড়ির পুকুরে
কলেজের অধ্যক্ষ অমিতাভ রায় জানালেন, "আজ আমাদের কলেজে চাঁদের হাট। এই ধরনের অনুষ্ঠানের মূল লক্ষ্য আমাদের ছাত্রছাত্রীদের স্কিল ডেভেলপমেন্টের পাশাপাশি এও নিশ্চিত করা যে ভবিষ্যতে তারা স্রেফ 'জব সিকার' বা চাকরির উমেদার না হয়ে নিজেরাই 'জব প্রোভাইডার' বা চাকরির উৎস হতে পারে। তাই আজ হাজিক কাজী, শর্মিলা চানু, অলকানন্দা রায় সহ দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের ন'জন দিকপাল আমাদের কলেজের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে যোগ দিয়েছেন। পড়ুয়ারা তাদের মূল্যবান বক্তব্য শুনে নিজেদের জীবনে কাজে লাগাতে পারবে। এই অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত।"
হাজিক বলে, সে একটি জাহাজের মডেল তৈরী করেছে। এই জাহাজটি সমুদ্রে জমে থাকা বর্জ্য পদার্থ পরিষ্কার করবে। উল্লেখ্য, সমুদ্রে জমতে থাকা বর্জ্য পদার্থ, বিশেষ করে প্লাস্টিক বর্জ্য, সারা বিশ্বের পরিবেশ বিজ্ঞানীদের কাছে গভীর চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বর্জ্যের দৌলতে সামুদ্রিক জীবজগতের অপূরণীয় ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন একাধিক পরিবেশ বিজ্ঞানী। এই প্রেক্ষিতে হাজিকের উদ্ভাবন এই জাহাজ মানবজাতির পক্ষে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
জলপাইগুড়িতে হাজিক জানালো, এটি তার পঞ্চম কনফারেন্স। এর আগে নিউ ইয়র্ক, ব্যাঙ্গালোর প্রভৃতি জায়গায় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিয়েছে সে।
অয়ন দেব নামে এক ছাত্র জানান, "টেড-এক্স একটি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম। সমাজের বিভিন্ন স্তরের দিকপালের সাফল্যের কথা তাঁদের নিজেদের মুখে শুনলাম। আমরা প্রচন্ডভাবে লাভবান হলাম।"