নজরকাড়া প্রতিভায় বিশ্বসেরার স্বীকৃতি! খুদে দেবেশির কাণ্ডে রীতিমত শোরগোল। জেলার প্রতিভাকে টেক্কে কলকাতার ‘বিষ্ময় শিশুকন্যার’। ক্লাস ওয়ানের দেবেশির প্রতিভা ইতিমধ্যেই 'বিশ্বজোড়া স্বীকৃতি' পেয়েছে। বেহালা বড়িশা সখের বাজারের বাসিন্দা দেবেশি। ব্যাঙ্গালুরুর এক স্কুলে ক্লাস ওয়ানের ছাত্রী সে। দেবেশি যোগ ব্যায়ামের পাশাপাশি অঙ্কন,পড়াশুনা সবেতেই সমান পারদর্শী। এহেন প্রতিভা তাক লাগিয়েছে সকলকেই।
প্রতিক্ষেত্রেই নিজেকে প্রমাণ করে ছিনিয়ে নিয়েছে 'সেরার সেরা স্বীকৃতি'। ‘৫ মিনিট ২৩ সেকেন্ড নন-স্টপ পূর্ণভূজঙ্গাসন পোজ’ দিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েছে খুদে এই শিশুকন্যা। এর পাশাপাশি মাত্র এক বছরে ৬৫টির বেশি অঙ্কন প্রতিযোগিতায় সাফল্য লাভ করে দেবেশি জিতে নেয় ‘excellent child artist award’।
মাত্র ৪ বছর বয়সেই ঝুলিতে একের পর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের একাধিক পুরস্কার। নিখুঁত শিল্পকর্মকে ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলে দেবেশি আদায় করে নেয় 'excellent child artist award' । ২০২১ -এর জানুয়ারিতে দেবেশি নিজের দক্ষতায় জায়গা করে নিয়েছে 'India Book of Records '- এ। এর মাত্র কিছুদিন আগেই দেবেশি জায়গা করে নিয়েছে দেশের সেরা ‘১০০ সেরা চাইল্ডের’ মধ্যে' varsetile child ' হিসাবে।
খেলাধুলা-যোগব্যায়ামের পাশাপাশি পড়াশুনাতেও রীতিমত দক্ষ ছোট দেবেশি। চলতি বছরে প্রথম IMO (International Mathamatics Olympiad) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১০০ % নম্বর পেয়ে গোল্ড মেডেল জিতে নেয় বেহালার এই খুদে। এখন পর্যন্ত দেবেশির সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি যোগ ব্যায়াম-এ " বিশ্ব রেকর্ড "। ‘৫ মিনিট ২৩ সেকেন্ড নন-স্টপ পূর্ণভূজঙ্গাসন পোজ’ দেওয়ার দক্ষতা দেখে মনভরে বিচারকদের। রাতারাতি ইন্টারন্যাশানাল বুক অব রেকর্ডস এ জায়গা করে নেয় দেবেশি।
একরত্তি মেয়ের এমন কাণ্ডে বেজায় খুশি মা প্রিয়াঙ্কা। তিনি বলেন, ‘লকডাউনে ঘরের দেওয়ালে একের পর প্রাকৃতিক দৃশ্য ফুটিয়ে তুলত ও। সেই থেকে ওর দক্ষতার পরিচয় পাই। এরপর থেকে ইউটিউব দেখে একে একে ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলত নানান তাক লাগানো শিল্পকর্ম। আঁকার পাশাপাশি যোগাসনেও দেবেশি রীতিমত ওস্তাদ। যোগাসনে ওর প্রাপ্তি বিশ্বরেকর্ড। সেই সঙ্গে পড়াশুনাতেও দেবেশি অনেকের থেকে এগিয়ে। মুহূর্তেই জটিল অঙ্ক কষে দিতে পারে ও'।
তিনি আরও বলেন, 'ইতিমধ্যে তিনবার International Mathamatics Olympiad-এ প্রথম স্থান অর্জন করে ও। মোবাইলে ইন্টারনেট দেখেই ও অনেক কিছু রপ্ত করে। মা প্রিয়াঙ্কা চান বড় হয়ে মেয়ে 'রোবোটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং' নিয়েই নিজের কেরিয়ার এগিয়ে নিয়ে যাক'। বাবা ঋতপ্রতিম পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। মেয়ের এমন শোরগোল ফেলে দেওয়া কাণ্ডে বেজায় আপ্লূত তিনিও। ঋতপ্রতিমের কথায়, “মেয়ে একের পর এক পুরস্কার জিতে আনার পর ওর মধ্যে আবারও নতুন কিছু করার নেশা চেপে বসে। একেবারেই নিজের চেষ্টাতেই ওর এই কৃতিত্ব”।