প্রতারণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আশ্বাস, আলোচনা পরও মেলেনি ইতিবাচক বার্তা। মেয়ো রোড চত্বরে ২৯ দিন ধরে অনশন করা এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের সাম্প্রতিক প্রতিক্রিয়া এমনই। মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসেই ২৮ মার্চ অনশন প্রত্যাহার করেছিলেন তাঁরা। এর উপর আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের দাবি খতিয়ে দেখার জন্য মুখ্যমন্ত্রীরই তৈরি করে দেওয়া কমিশনের দফতরেও তাঁদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ 'ওয়েটিং ক্যান্ডিডেট'-দের( প্যানেলে নাম থাকলেও চাকরি পায়নি যারা)। ন্যায্য ও প্রাপ্য চাকরির দাবিতে টানা ২৯ দিন অনশন করার পর মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিতে ২৮ মার্চ সেই অনশন সাময়িক প্রত্যাহার করেছিল। কিন্তু বর্তমানে সেই প্রতিশ্রুতি মিথ্যা বলে মনে করছেন তাঁরা।
তিন মাস কেটে গিয়েছে, কিন্তু পরিস্থিতিতে কোনও হেরফের নেই। উপরন্ত কবে চাকরি হবে, সেই প্রশ্ন করতে গেলেই 'জানি না' বলে বার করে দেওয়া হচ্ছে। অনশনকারী ইনসান আলি বলেন, "২৮ মার্চ মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিতে আমরা অনশন প্রত্যাহার করি। জুন মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে মেধাতালিকায় নাম থাকা সকল পার্থীকে বঞ্চিত করবেন না বলে তিনি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেন ও পশ্চিমবঙ্গের বেকার যুবক যুবতীদের প্রতারণা করেন"।
ছবি শশী ঘোষ
তিনি আরও বলেন, অনশনকারী ৫ প্রতিনিধির সঙ্গে কমিশনের সচিব মনীশ জৈন ও সভাপতি অলোকবাবু দীর্ঘদিন আলোচনায় বসেন। কিন্তু তাতেও কোনও ইতিবাচক ভুমিকা গ্রহণ করেননি তাঁরা। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে অনশনকারীদের প্রতিনিধি হন- হাফিজুল গাজী, অর্পিতা দাস, ইনসান আলি, রাকেশ প্রামাণিক এবং তানিয়া শেঠ।
টানা ত্রিশ অনশনের পরও অনিশ্চয়তায় হবু শিক্ষক শিক্ষিকারা, ছবি শশী ঘোষ
ইনসান আলি বলেন, "মঙ্গলবার কমিশনের আধিকারিকরা আমাদের প্রতিনিধিকে অপমান করেন ও বিকাশ ভবনে প্রবেশ করতে দেয় না। সে এরপরও ঢোকার চেষ্টা করলে এক টেবিল থেকে অন্য টেবিল ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সকাল এগারোটা থেকে বিকেল পাঁচটা প্রর্যন্ত কাটিয়ে দেওয়া হয়। অবশেষে তারা বলেন, কিছুই করতে পারবেন না"।
আরেক অনশনকারী অর্পিতা দাস বলেন, "এসএসসির চেয়ারম্যান ডাঃ সৌমিত্র মিত্রের দ্বারস্থ হই। তখন তিনি বলেন, ২৮ মার্চ মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন, তারপর আমাদের কাছে কোনও নির্দেশিকা আসেনি"। আমরা এই অপমানজনক ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আগামী ৩ দিনের মধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেব আমরা।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে এসএসসির চেয়ারম্যান সৌমিত্র মিত্র জানিয়েছেন, "এসএসসির চেয়ারম্যান হিসাবে আমি পোস্ট খালি পেলে সেখানে তাদের নিয়োগ করব। আমি রেকমেন্ডিং অথরিটি। পাঁচ প্রতিনিধির মধ্যে আমি একজন হলেও সেই কমিটির
আহ্বায়ক নই আমি, তাই আমার পক্ষে কিছু বলা সম্ভব নয়"।