বঙ্গ সফরের দ্বিতীয় দিনে পূর্ব মেদিনীপুর সফরে কেন্দ্রীয় দল। সোমবার তারা ইয়াস বিধস্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা জলপথে পরিদর্শন করেন। মঙ্গলবার ফের দুটি দলে ভাগ হয়ে দিঘা এবং মন্দারমনি সফর করেছেন। কথা বলেছেন দুর্গতদের সঙ্গে। এরপর দিঘায় জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তারা।
এদিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে যে ৭ সদস্যের দল, তাঁদের মধ্যে শেখ শাহি, অলীকপান্থ দে, রাজীব প্রতাপ দুবে, আর বি কল হেলিকপ্টারে দিঘা যান। নরেন্দ্র কুমার, সংযুক্তা কাঞ্জিলাল ও দীপশেখর সিংহল যান সড়কপথে। তবে, কেন্দ্রীয় দলের উপস্থিতির মধ্যেই গ্রামবাসীরা বাঁধ চাই, বাড়ি চাই প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখান।
এদিন দিঘার প্রসাশনিক বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় দলের এক প্রতিনিধি বলেন, ‘জেলা কর্তারা ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ তথ্য পরিবেশন করেছেন। ওদের দাবি এবং পুনর্গঠনে কী জরুরি, সেইসব লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।‘
এদিকে, রাজ্য সফরের শেষদিন অর্থাৎ বুধবার কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী জেলার ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখবে কেন্দ্রীয় দল। তারপর নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন ওই ৭ সদস্যের কমিটি। অর্থ দফতরের সঙ্গেও বৈঠক হওয়ার কথা।
অপরদিকে, এদিকে, ফি বছর ঘূর্ণিঝড়-প্রাকৃতিক দুর্যোগে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে রাজ্যের। বারবার ভাঙছে নদীবাঁধ, ক্ষতি হচ্ছে উপকূলবর্তী এলাকার। ঘরবাড়ি হারাচ্ছেন মানুষ। বারবার বাঁধ ভাঙার ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সপ্তাহে নবান্নে ইয়াস পরবর্তী পর্যালোচনা বৈঠকে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন মমতা। বারবার ক্ষয়ক্ষতির জেরে রাজ্যের ব্যাপক টাকা অপচয় হচ্ছে বলে মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “বারবার বাঁধ কেন ভাঙছে, লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতি বছর জলে যাচ্ছে। নদীবাঁধ ভাঙন রুখতে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অরণ্য এলাকায় ভ্যাটিভার ঘাস ব্যবহার করতে হবে। দিঘায় সৌন্দর্যায়নের ভিত্তিটাই ভুল হয়েছে। দিঘার চিফ ইঞ্জিনিয়ারকে দায়িত্ব নিতে হবে।” এদিন তিনি বলেন, “প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রকৃতিই সহায়ক কর্মসূচি নিয়েছে রাজ্য। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি রুখতে প্রকৃতিগত ভাবে তা সামলানোর ব্যবস্থা করা হবে।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন