Covid Tourism in Bengal: বর্ষা, পাহাড়, কাঞ্চনজঙ্ঘা, মেঘ-বৃষ্টির খেলা। এই কম্বিনেশন খুঁজতে দার্জিলিং-সহ রাজ্যের অন্য শৈল শহরে আনাগোনা বেড়েছে পর্যটকদের। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রিত হতেই রাজ্যের একাধিক পর্যটনস্থলে ভিড় চোখে পড়ার মতোন। রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা অবধি রাত্রিকালীন বিধির বাইরে সেভাবে কোনও নিষেধ নেই রাজ্যে। তাই বর্ষার মরশুমে ক্যুইন অফ হিলে বাড়ছে পর্যটকদের জমায়েত। কিন্তু এমন অনেক পর্যটক আছেন, যাদের সুকনা, শিলিগুড়ি, পাঙ্খাবাড়ি বা শিমুলবাড়ি থেকে ফিরে যেতে হচ্ছে। নেপথ্যে সঠিক করোনা নথি সঙ্গে না থাকা।
জানা গিয়েছে, পাহাড়ে ওঠার পথে একাধিক চেক পয়েন্টে পর্যটকদের নথি পরীক্ষা করছেন দার্জিলিং জেলা পুলিশ। করোনা টিকার দুটি ডোজ কিংবা আরটি-পিসিআর নেগেটিভ রিপোর্টের নথি না থাকলে ঘুরপথে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে পর্যটকদের। পুলিশ সূত্রে খবর, করোনা টিকা দুটি ডোজ না থাকলে সর্বাধিক ৭২ ঘণ্টা আগে করা আরটি-পিসিআর নেগেটিভ পরীক্ষার রিপোর্ট বাধ্যতামূলক। প্রশাসনিক এই কড়াকড়ি প্রসঙ্গে পাহাড়ের পর্যটন ব্যাবসায়ীদের মন্তব্য, ‘আমাদের কথা ভেবেই এই বন্দোবস্ত হলেও, আখেরে ক্ষতি হচ্ছে ব্যবসার। অনেক পর্যটক শেষমুহূর্তে হোটেল এবং গাড়ি বুকিং বাতিল করছেন। ফলে অথৈ জলে পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।‘
এদিকে, দিঘা, তাজপুর, মন্দারমনি প্রবেশে একই নিয়ম থাকলেও পর্যটকদের উৎসাহিত কোর্টে বিশেষ অফার দিচ্ছেন হোটেল মালিকরা। জানা গিয়েছে, দিঘা-শঙ্করপুরে হোটেল বুকিংয়ে ১২-১৫% ছাড় পাওয়া যাচ্ছে। অনলাইন কিংবা স্পট বুকিংয়ে এই সুযোগ মিলবে। আগে যে হোটেলের ভাড়া দিনপ্রতি ছিল ২০০০ টাকা। এখন সেটাই পাওয়া যাবে ১৫০০-১৭০০ টাকার মধ্যে। একই ছাড় মিলবে কমদামি কিংবা মাঝারি মানের হোটেল বুকিংয়ে। নথি কড়াকড়ির জেরে যেহেতু দিঘা-শঙ্করপুরের একাধিক হোটেলের ঘর ফাঁকা। তাই পর্যটকদের টানতে এই ব্যবস্থা এমনটাই জানিয়েছেন দিঘা-শঙ্করপুর হোটেল মালিক সংগঠন। তবে দিঘা প্রবেশের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন।
জানা গিয়েছে, যে সমস্ত পর্যটকের কোভিড রিপোর্ট সার্টিফিকেট নেই, তাঁদের করোনা পরীক্ষা ব্যবস্থা করবে হোটেল মালিকদের সংগঠন। তবে সেই পরীক্ষার কিট বাবদ ২৪০ টাকা প্রতি পর্যটককে দিতে হবে । পাশাপাশি দিঘা হাসপাতালে পৃথক করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন।
অপরদিকে, রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। করোনাবিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এখনও রাজ্যের প্রায় ৪৯% মাস্ক পরছেন না। সম্প্রতি রাজ্যের সব জেলার ৬৫০টি অঞ্চলে সমীক্ষা চালিয়ে এই রেজাল্ট হাতে পেয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। তাই ন্যূনতম করোনা বিধি মেনে চলতে জেলা প্রশাসনকে আরও কড়া হতে নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন