মেডিকেল কলেজের ছ'তলার ছাদ থেকে মারন ঝাঁপ মহিলা রোগীর। নিচে পড়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হলো ২৬ বছর বয়সী ওই রোগীর। এই ঘটনাই আবারও মালদা মেডিকেল কলেজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ মহিলার রোগীর মৃত্যুর ঘটনার পর তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তড়িঘড়ি অচৈতন্য ও রক্তাক্ত ওই মহিলা রোগীকে মেডিকেল কলেজের জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসাকেরা মৃত বলে জানিয়ে দেয়।
মেডিকেল কলেজ সূত্রে খবর, মৃতার নাম সাবেরা খাতুন (২৬)। তাঁর বাড়ি রতুয়া থানার মাগুরা এলাকায়। আংশিক মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন রোগী। এদিন এক দাদার সঙ্গে মেডিকেল কলেজের আউটডোরে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন সাবেরা। তারমধ্যেই এই দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃতের এক দাদা মুরশেদ রহমান বলেছেন, 'বোনকে নিয়ে মেডিকেল কলেজের আউটডোরে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলাম। বোন আংশিক মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। ওকে নিচে বসিয়ে ছ'তলার বিল্ডিং-এ গিয়েছিলাম কুপন কাটতে। এরই মধ্যে বোন হঠাৎ করে মেডিকেল কলেজের আউটডোরের ছ'তলা বিল্ডিং-এর ছাদে উঠে পড়ে। সেখান থেকেই পড়ে যায়। ছাদের উপর থেকে নিজেই ঝাঁপ দিয়েছে না বমি করতে গিয়ে বেসামাল হয়ে পড়েছে কিছুই বুঝতে পারছি না।'
মৃতার দাদার অভিযোগ, মেডিকেল কলেজের সবথেকে উপর তলার ছাদের দরজার যদি তালা বন্দি থাকতো, তাহলে এই দুর্ঘটনাটি ঘটতো না। এমনকি মেডিকেল কলেজের নিরাপত্তা রক্ষীরাও ছিল না। সকলের নজর এড়িয়ে ওপরের ছাদে উঠে যাওয়াই পরই ছ'তলার ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে সাবেরার।
মেডিকেল কলেজের আউটডোর সামনে প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন মহিলারার কথায়, 'আউটডোরের ছ'তলার ওপর হঠাৎ করে রেলিঙে ওই মেয়েটিকে ঘোরাফেরা করতে দেখছিলাম। আমরা নিচ থেকে চিৎকার চেঁচামেচি করি। মেডিকেল কলেজের নিরাপত্তা রক্ষীদেরও ডাকার চেষ্টা করি। কিন্তু ওরা সাহায্য না করে কেউ কেউ মোবাইলে ছবি তুলতে শুরু করে দেয়। চোখের সামনে নিচে পড়ে যাওয়ায় প্রাণ চলে যায় মহিলা রোগীর।'
এদিকে মেডিকেল কলেজের প্রকাশ্যে দিবালোকে এরকম দুর্ঘটনার পর রীতিমতো সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা
এর আগেও মেডিকেল কলেজে এরকম দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। কিন্তু তারপরও হুঁশ ফেরেনি কর্তৃপক্ষের। মালদা মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ডা: পুরঞ্জয় সাহা বলেছেন, 'বিষয়টি শুনেছি। কীভাবে ঘটনাটি ঘটলো তা পরিষ্কারভাবে বলতে পারব না। মেডিকেল কলেজের সিসি ক্যামেরা রয়েছে। অবশ্যই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। কোথাও কোনও গাফিলতি থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'