অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। ইতিমধ্যেই রাম নগরীতে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন রাম ভক্তরা। আগামী ২২ শে জানুয়ারি মোদীর হাত ধরেই হবে রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা। রাম মন্দিরকে একবার চোখের দেখা দেখতে হুগলির বলাগড় থেকে সাইকেলেই অযোধ্যা পৌঁছালেন এক যুবক। দীর্ঘ ৯ দিনের টানা যাত্রা শেষে গত সপ্তাহেই অযোধ্যা এসে পৌঁছেছেন হুগলির সুমন বিশ্বাস। অযোধ্যায় পৌঁছেই সেখানকার আতিথেয়তায় মুগ্ধ সুমন।
পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। অল্প বয়সেই পড়াশোনা শেষ করে ছোটখাটো কাজে যোগ দেয় সুমন। অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের কাজ যখন শুরু হয় তখন থেকেই সে মোবাইল ও সংবাদপত্র মারফৎ এব্যাপারে খোঁজ খবর রাখা শুরু করে। আগামী ২২ জানুয়ারি মন্দিরের উদ্বোধন। তার আগেই নিজের আশা পূরণে সাইকেলে সওয়ার হয়ে রাম মন্দিরে পৌঁছোনোর পথ বেছে নেয়। অবশেষে লক্ষ্য সফল। অযোধ্যায় রাম মন্দির নিজের চোখে দেখে রীতিমত উচ্ছ্বসিত সে।
তবে অযোধ্যায় যাওয়ার জন্য সাইকেলই কেন? সেই প্রশ্নের উত্তরে সুমন বলেন, "পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। ট্রেনে যাওয়ার মত সামর্থ্য নেই তার। অথচ রাম মন্দিরের মত এক মেগা ইভেন্টকে কোন ভাবেই হাতছাড়া করা যায় না। তাই অবশেষে সাইকেলেই ভরসা। বাবা তপন বিশ্বাস বলেন, ‘ছেলে খুব ছোট থেকেই রাম ভক্ত। মোবাইলে রামায়ণ ও মহাভারত সব কিছুই দেখে ফেলেছে। ভগবান রামের স্তোত্রও ওঁর মুখস্থ। রাম মন্দির উদ্বোধনের খবর শুনেই সেখানে গিয়ে মন্দির একবার চাক্ষুষ দেখার ইচ্ছা থেকে ওর এই যাত্রা।
অযোধ্যায় গিয়ে সেখানকার মানুষদের আতিথেয়তায় মুগ্ধ সুমন। তিনি বলেন, "গোটা রাম নগরী দারুণ ভাবে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে নিরাপত্তায়। স্থানীয় হিন্দু সংগঠনের নেতারা রাম ভক্তদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করছেন। দূর দূরান্ত থেকে অজস্র ভক্ত আসতে শুরু করেছেন। অযোধ্যায় এক উৎসবের পরিবেশ। ইচ্ছা ছিল ২২ শে জানুয়ারি উদ্বোধন অনুষ্ঠান দেখার। তবে হোটেল ভাড়া আকাশছোঁয়া। যা আমাদের মত নিন্ম আয়ের মানুষদের পক্ষে বহন করা অসম্ভব। তাই তার আগেই ফিরে আসতে হবে। তবে মন্দির দর্শনের যে সুযোগ আমি পেয়েছি। তাতে আমি ধন্য"।