দীর্ঘদিন ধরেই প্রেম। তার ওপর একাধিকবার সহবাস। অভিযোগ, এরপরেই বেপাত্তা প্রেমিক। পরবর্তীতে প্রতারণার অভিযোগ তুলে বিয়ের দাবিতে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে প্রেমিকের বাড়ির সামনে এসে ধরনায় বসলেন উত্তরপ্রদেশের যুবতী। রীতিমতো বিয়ের সাজসজ্জা সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন ওই যুবতী। বুধবার সকাল থেকেই এই ঘটনাটি নিয়ে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে চাঁচোল মহকুমার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাংরুয়া গ্রামে।
স্ত্রীর মর্যাদা দাবিতে সকাল থেকেই প্রেমিকের বাড়ির দরজার সামনেই বোরখা পড়ে ধরনায় বসে রয়েছেন উত্তরপ্রদেশের ওই যুবতী। তাঁকে এভাবে বসে থাকতে দেখে গ্রামবাসীদের মধ্যে শুরু হয় চর্চা। এরপর ধীরে ধীরে ভিড় হতে শুরু করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। ওই যুবতী পুলিশকে তাঁদের মোবাইলবন্দি অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিছু ছবি দেখান। হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের নানান প্রেমের কথোপকথন সেগুলিও তুলে ধরেন।
পুরো বিষয়টি নিয়ে ওই যুবতীকে অভিযোগ দায়েরের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এদিকে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে অভিযুক্ত প্রেমিকের পরিবার বাড়িতে আগাম তালা মেরে এলাকা থেকে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবতীর নাম আসিফা খাতুন। তার বাড়ি উত্তর প্রদেশের বিজনৌর জেলার বিচপরী মান্ডিয়া এলাকায়। তার দাদুর বাড়ি রয়েছে হরিশচন্দ্রপুরের বাংরুয়া গ্রামে। তিন বছর আগে ওই যুবতী মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে দাদুর বাড়ি ঘুরতে এলে বাংরুয়া গ্রামের বাসিন্দা মজিফুল শেখের ছেলে ইব্রাহিম আলির প্রেমে পড়ে। এরপর আলাপ গাঢ় হয়। যা ক্রমে প্রেমের সম্পর্কে পরিণত হয়। উভয়ের সম্মতিতেই হয় সহবাসও। অভিযোগ, এতকিছুর পরেও বিয়ে করতে রাজি নয় প্রেমিক ইব্রাহিম। অগত্যা বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিকের বাড়ির সামনেই ধরনায় বসেছেন ভিন রাজ্যের প্রেমিকা।
আসিফা খাতুনের বক্তব্য, 'ইব্রাহিম আলি রীতিমতো প্রতারণা করেছে। বিয়ের প্রস্তাবের কথা বললেও আমার সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদ করেছে। কোনওরকমভাবেই সে আর সম্পর্ক রাখতে চাইছে না। ফলে বাধ্য হয়েই প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধরনায় বসেছি। এই ব্যাপারে পুলিশকেও লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।'
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হবে।