গৃহবধূকে ফুঁসলিয়ে চুটিয়ে প্রেম, তারই ফাঁকে মহিলার ব্যক্তিগত মুহূর্তের কয়েকটি ছবি তাঁর মোবাইল ফোন থেকে হাতিয়ে নেয় প্রেমিক। পরে সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ। শেষমেশ পুলিশের দ্বারস্থ গৃহবধূ। পুলিশের পরামর্শেই ফাঁদে পড়ল গুণধর প্রেমিক।
আদতে বিহারের বাসিন্দা দীনেশ দাস কলকাতায় এসেছিল কাজের সূত্রে। কলকাতায় কাজের সূত্রে এসে তার পরিচয় হয় বারুইপুরের বছর বত্রিশের এক গৃহবধূর সঙ্গে। ধীরে-ধীরে দু'জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। এরপর থেকেই কাজের ফাঁকে দু'জনে প্রায়শই দেখা করত। ফোনে রীতিমতো কথাবার্তাও হতো। এমনকী ভিডিও কলেও দু'জনে কথা বলত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তবে সম্পর্কের তাল কাটে কয়েক মাসের মধ্যেই।
গৃহবধূর অভিযোগ, দীনেশ তাঁর অজান্তেই তাঁর ব্যাগ থেকে মোবাইল ফোন নিয়ে তাঁর গোপন কিছু ছবি ও ভিডিও নিজের মোবাইলে নিয়ে নেয়। পরে সেই ছবি, ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানোর ভয় দেখিয়ে তাঁকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে। দীনেশকে ওই ছবি-ভিডিও ডিলিট করতে বললে সে মহিলার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরির প্রস্তাব দেয়। আতঙ্কে এক প্রকার বাধ্য হয়েই এরপর ওই মহিলাও দীনেশের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। একাধিকবার কলকাতার বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে গিয়ে মহিলার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করে দীনেশ।
আরও পড়ুন- ‘ভাগ্যিস বুলেটপ্রুফ গাড়িতে ছিল অভিষেক, নইলে বেঁচে ফিরত না’, ভয়ঙ্কর ‘তথ্য ফাঁস’ মমতার
কিছুদিনের মধ্যেই গৃহবধূর স্বামীও তাঁকে সন্দে করতে শুরু করেন। কাজের জায়গা থেকে বাড়ি ফেরায় দিনের পর দিন দেরি হওয়াতেই মহিলার স্বামী তাকে সন্দেহ করতে শুরু করেন। শেষমেষ দীনেশের সঙ্গে সম্পর্কের পাঠ চুকিয়ে নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন ওই গৃহবধূ। দীনেশের সঙ্গে তুমুল তর্কাতর্কি পর্যন্ত হয়েছে তার। তবে শেষমেশ ওই মহিলা গোটা ঘটনা বারুইপুর থানার পুলিশ আধিকারিকদের জানান। এরপর পুলিশই ওই মহিলাকে সাহায্যে এগিয়ে আসে।
পুলিশের পরামর্শেই এরপর দীনেশকে বারুইপুর স্টেশনে ডেকে পাঠান ওই গৃহবধূ। ওই গৃহবধূর কথামতো দীনেশ স্টেশনে আসতেই সাদা পোশাকে থাকা পুলিশকর্মীরা তাকে গ্রেফতার করে। ধৃতের বিরুদ্ধে ধর্ষণ-সহ একাধিক মামলা রুজু করেছে বারুইপুর থানার পুলিশ।