স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় রহস্যজনকভাবে আচমকা নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন স্বামী। ঘটনার ১১ দিন কেটে যাওয়ার পর অবশেষে সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে মিলল স্বামীর পচাগলা দেহ। যুবককে খুনের অভিযোগে স্ত্রী এবং তার এক প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মালদহের ইংরেজবাজারের মোহনপুর গ্রামের ঘটনা। শুক্রবার সকালে যুবকের মৃতদেহ উদ্ধারের পর গোটা গ্রামে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়েছে। খুনে অভিযুক্ত স্ত্রী এবং তার প্রেমিকের ফাঁসির দাবিতে সরব গ্রামবাসারী।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম সাদিকুল খান। বছর আটত্রিশের এই যুবক খুনে ধৃত তারই স্ত্রী সারিফা বিবি ও তার প্রেমিক নূর আলম। মোহনপুরের বাসিন্দা পেশায় দিনমজুর সাদিকুল খানের সঙ্গে প্রায় দশ বছর আগে সারিফার বিয়ে হয়। তাঁদের এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
অভিযোগ, গত চার বছর ধরে প্রতিবেশী যুবক নূর আলমের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে সারিফার। এই নিয়ে সাদিকুলের সঙ্গে প্রায়শই ঝামেলা লেগে থাকত সারিফার। এরপরই প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে খুনের ছক কষে সারিফা।
আরও পড়ুন- দিনে-দুপুরে ব্যাঙ্ক-ডাকাতি, লক্ষ-লক্ষ টাকা লুঠ করে চম্পট দুষ্কৃতীদের
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে , গত ১০ জানুয়ারি নিখোঁজ হয়ে যান সাদিকুল। কোথাও তাঁকে খুঁজে না পেয়ে ১৬ জানুয়ারি মিল্কি পুলিশ ফাঁড়িতে নিখোঁজ ডায়েরি করে তাঁর পরিবার। এরপর তদন্তে নেমে লালচাঁদ শেখ নামে নূর আলমের এক সঙ্গীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জেরা করে সমস্ত ঘটনার কথা জানতে পারে পুলিশ। এরপর সারিফা ও নূর আলমকে গ্রেফতারের পর মুখোমুখি জেরা করা হয়। সেই জেরাতেই সত্যি সামনে আসে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাদিকুলকে খুনের ছক কষে সারিফা ও নূর আলম। অপহরণের পর যুবকের গলা কেটে খুন করা হয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। এই খুনের সঙ্গে সারিফা ও নূর আলম ছাড়াও আরও কয়েকজনের যোগ রয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
খুনের পর সাদিকুলের দেহ বস্তাবন্দি করে ফেলে দেওয়া হয় নূরের আত্মীয়ের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে। শুক্রবার সেখান থেকেই পচাগলা ওই মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনায় বাকি জড়িতদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।