Advertisment

স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের প্রতিবাদ, ১১ দিন পর মিলল স্বামীর পচাগলা দেহ

ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় মৃতের স্ত্রী ও তার প্রেমিককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। যুবক খুনে আরও কয়েকজন জড়িত বলে দাবি পুলিশের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
youth deadbody recover from septic tank at malda englishbazar area, including his wife two are arrested

বাঁদিকে পুলিশের গাড়িতে স্বামী খুনে গ্রেফতার স্ত্রী ও তার প্রেমিক। ডানদিকে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন নিহতের পরিবারের বাকি সদস্যরা। ছবি: মধুমিতা দে

স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় রহস্যজনকভাবে আচমকা নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন স্বামী। ঘটনার ১১ দিন কেটে যাওয়ার পর অবশেষে সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে মিলল স্বামীর পচাগলা দেহ। যুবককে খুনের অভিযোগে স্ত্রী এবং তার এক প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মালদহের ইংরেজবাজারের মোহনপুর গ্রামের ঘটনা। শুক্রবার সকালে যুবকের মৃতদেহ উদ্ধারের পর গোটা গ্রামে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়েছে। খুনে অভিযুক্ত স্ত্রী এবং তার প্রেমিকের ফাঁসির দাবিতে সরব গ্রামবাসারী।

Advertisment

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,  মৃত যুবকের নাম সাদিকুল খান। বছর আটত্রিশের এই যুবক খুনে ধৃত তারই স্ত্রী সারিফা বিবি ও তার প্রেমিক নূর আলম। মোহনপুরের বাসিন্দা পেশায় দিনমজুর সাদিকুল খানের সঙ্গে প্রায় দশ বছর আগে সারিফার বিয়ে হয়। তাঁদের এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে।

অভিযোগ, গত চার বছর ধরে প্রতিবেশী যুবক নূর আলমের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে সারিফার। এই নিয়ে সাদিকুলের সঙ্গে প্রায়শই ঝামেলা লেগে থাকত সারিফার। এরপরই প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে খুনের ছক কষে সারিফা।

আরও পড়ুন- দিনে-দুপুরে ব্যাঙ্ক-ডাকাতি, লক্ষ-লক্ষ টাকা লুঠ করে চম্পট দুষ্কৃতীদের 

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে , গত ১০ জানুয়ারি নিখোঁজ হয়ে যান সাদিকুল। কোথাও তাঁকে খুঁজে না পেয়ে ১৬ জানুয়ারি মিল্কি পুলিশ ফাঁড়িতে নিখোঁজ ডায়েরি করে তাঁর পরিবার। এরপর তদন্তে নেমে লালচাঁদ শেখ নামে নূর আলমের এক সঙ্গীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জেরা করে সমস্ত ঘটনার কথা জানতে পারে পুলিশ। এরপর সারিফা ও নূর আলমকে গ্রেফতারের পর মুখোমুখি জেরা করা হয়। সেই জেরাতেই সত্যি সামনে আসে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাদিকুলকে খুনের ছক কষে সারিফা ও নূর আলম। অপহরণের পর যুবকের গলা কেটে খুন করা হয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। এই খুনের সঙ্গে সারিফা ও নূর আলম ছাড়াও আরও কয়েকজনের যোগ রয়েছে বলে দাবি পুলিশের।

খুনের পর সাদিকুলের দেহ বস্তাবন্দি করে ফেলে দেওয়া হয় নূরের আত্মীয়ের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে। শুক্রবার সেখান থেকেই পচাগলা ওই মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনায় বাকি জড়িতদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

police Maldah West Bengal
Advertisment