বাবাকে গুলি করে খুন করে দেহ পেট্রোল ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে। রোমহর্ষক এই ঘটনাটি বনগাঁর গোবরাপুর কেউটিয়া পাড়ার। অভিযুক্ত আশানুর গোলদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পারিবারিক অশান্তির জেরেই নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।
শনিবার রাতে বনগাঁর গোবরাপুর কেউটিয়া পাড়ার বাড়ি থেকে মোহর গোলদার নামে বছর পঁয়তাল্লিশের ওই ব্যক্তির দগ্ধ দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মোহর অত্যাধিক নেশা করতেন। যা নিয়ে প্রায়ই পরিবারে অশান্তি লেগে থাকতো। নেশা করা নিয়েই মোহরের পরিবারে অশান্তি চলছিল। শনিবার রাতে অশান্তি এমন পর্যায়ে পৌঁছোয় যে মোহরের স্ত্রী ও ছেলের বউ বাড়ি ছেড়ে প্রতিবেশীর বাড়িতে চলে যান।
নিহতের স্ত্রী তহমিনা গোলদার বলেন, ''প্রতিবেশীর বাড়িতে যাওয়ার কিছু সময় পরে জানতে পারি বাড়িতে আগুন জ্বলছে। প্রথমে ভেবেছিলাম উনি (মোহর) জামা কাপড়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। কিছু সময় পরে বাড়ি ফিরে দেখি ঘরের সামনে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছেন উনি।'' তাঁর আরও দাবি, "প্রতিবেশীরা আমায় বলেছেন বড় ছেলে বাড়ি এসেছিল। সে তার বাবাকে মেলে ফেলেছে।"
আরও পড়ুন- বিধ্বংসী আগুনে ঝলসে মৃত্যু মা ও দুই ছেলের, শোকের ছায়া এলাকায়
এই একই দাবি করেছেন মোহরের ছোট ছেলে হাসানুরও। তিনি বলেন, "কীভাবে বাবা মারা গিয়েছেন আমরা দেখিনি। তবে সবাই বলছে দাদা বাবাকে মেরে ফেলেছে।"
এদিকে, এই হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। তারাই অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানোর বন্দোবস্ত করে। পুলিশ অভিযুক্ত আশানুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশি জেরায় ধৃত খুনের কথা স্বীকার করেছে। প্রথমে বাবাকে গুলি করার পর গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বলে স্বীকার করেছে আশানুর। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরেই এই খুন। তবে এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা তা জানতে ধৃতকে দফায় দফায় জেরা করছে পুলিশ।