Hilsa festival: কর্মসূত্রে কেউ থাকেন কাতার,কেউ মুম্বাই, দিল্লি আবার কেউ কেউ ভিন রাজ্যে। ১৯৯০ সালের তমলুক হ্যামিল্টন হাইস্কুলের মাধ্যমিক বেচের বন্ধুরা ভুলেনি তাদের বন্ধুত্ব। কর্মসূত্রে বাহিরে থাকলেও প্রতিবছর ইলিশের মরশুমে হাজির হয়ে "ইলিশ উৎসব" য়ে মেতে ওঠেন। গত তিন বছরের মতো এবারেও পালিত হল ইলিশ উৎসব। রবিবার তমলুকের রুপনারায়ন নদীর পাড়ে একটি প্রেক্ষাগৃহে পালিত হলো ইলিশ উৎসব। সেই উৎসবে তামলুক হ্যামিল্টন হাইস্কুলের ৯০ সালের মাধ্যমিকের ৫০ জন ছাত্র মিলিত হন। সারাদিন ধরে বৃক্ষ রোপণ থেকে শুরু করে নানা অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ইলিশ উৎসবে মেতে ওঠেন তারা। এদিন ইলিশের পাঁচ ধরনের মেনু তৈরি হয়।ইলিশ ভাজা,পুইশাক দিয়ে ইলিশ, ভাপা ও সর্ষে ছাড়াও ইলিশের টক আর ইলিশের অম্বল ইলিশ রসিক বাঙালির মুখে হাসি আর জিভে জল আনে।
আবহাওয়ার খামখেয়ালির কারনে মৎস্যজীবীদের জালে ইলিশ ধরা না পড়ায় বাজারে ইলিশের দেখা নেই। ইলিশের দাম আকাশ ছোঁয়া তার মধ্যেও ইলিশের নানা পদের আয়োজন।
আরও পড়ুন- < Suvendu Adhikari: রাস্তায় নেমে সরকার কাঁপিয়ে দেওয়ার ডাক শুভেন্দুর, নবান্ন অভিযানে মমতার দম্ভ চুরমার করার ইঙ্গিত >
তমলুক হ্যামিল্টন হাইস্কুলের ৯০ সালের মাধ্যমিক পড়ুয়াদের বক্তব্য, প্রত্যেকেই কর্মসূত্রে ব্যাস্ত। বছরের একটা দিন বের করে আমরা ইলিশ উৎসবের আয়োজন করি। মরশুমের ইলিশ না পাওয়ায় বেশি দাম দিয়ে পদ্মার ইলিশ নিয়ে এসে আয়োজন করা। শুধু ইলিশ উৎসব নয় মাঝে মধ্যেই সমাজ সেবামূলক কাজ করা হয়। বৃক্ষ রোপণ থেকে দরিদ্র মানুষদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
আশিস আচার্য জানান, কর্মসূত্রে আমরা প্রায় সকলে বাহিরে থাকি। কিন্তু বছরে একবার সময় করে সকলে এক সাথে মিলিত হয়ে আনন্দ করে থাকি। শুধু ইলিশ উৎসব নয় সেই সাথে স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষকদের সাথে ক্রিকেট প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সকলে মিলিত হয়ে আনন্দ উপভোগ করাই আমাদের লক্ষ্য।।