Yusuf Pathan's First Campaign In Berhampore: লক্ষ্মীবারে 'অধীর দুর্গে' প্রচারে নামলেন ইউসুফ পাঠান। ব্যাট-বল হাতে ময়দান কাঁপিয়েছেন। রাজনীতির ময়দানেও প্রথমবার নেমেই সাবলীল গুজরাটের এই বাসিন্দা। বললেন, 'যখন খেলতাম তখন মাঠে নেমেই ব্যাট হাতে প্রথম কাজ ছিল জলদি রান তোলা। ভোটে নেমেও একই লক্ষ্য। তৃণমূলকে ম্যাচ জেতাতে হবে।'
একুশের বিধানসভা ভোটে ভিনরাজ্য থেকে বাংলায় প্রচারে আসা বিজেপি নেতা-নেত্রীদের 'বহিরাগত' বলে কটাক্ষ করেছিল তৃণমূল। মমতা সরকারের হ্যাটট্রিকে সেই তকমা কাজে লেগেছিল। সেই তৃণমূলই বহরমপুরে বাজিমাতে ভিনরাজ্যের বাসিন্দা ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটারকে প্রার্থী করেছে। তাই এবার তৃণমূলকে নিশানা করে 'বহিরাগত' বিদ্রুপ করছে বিরোধী দলগুলো। মুখে মুখে, সোশাল মিডিয়ায় চলছে জোরদার প্রচার।
প্রথমবার ভোটের প্রচারে নেমেই 'বহিগত' ইস্যু নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় বহরমপুরের তৃণমূলের প্রার্থীকে ইউসুফ পাঠানকে। খেলোয়াড় জীবনের মতই সপ্রতিভ পাঠান। দুরন্ত বলকেও ওভার বাউন্ডি হাঁকানোর চেষ্টা তাঁর। বললেন, 'আমার মনে হয় না আমি বহিরাগত।' জনতার উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, 'আপনাদের মনে হয়?' এরপরই সাংবাদিকদের ইউসুফ পাঠান বলেন, 'সবচেয়ে বড় নজির তো প্রধানমন্ত্রী মোদী। উনি গুজরাটের মানুষ। কিন্ত কোথা থেকে ভোটে লড়াই করেন সকলেই জানেন। ভালোবাসা ও কাজের ক্ষমতা থাকলে যেখান থেকে খুশি ভোটে লড়াই করা যায়।' এরপরই তাঁর ঘোষণা, 'এটা আমার বাড়ি, এখানে আমি থাকতে এসেছি।'
আরও পড়ুন- Mausam Noor: বিরাট ধাক্কা! স্বপ্নভঙ্গ তৃণমূল সাংসদ মৌসম নূরের, দিলেন পরবর্তী পথের দিশা
আরও পড়ুন- West Bengal: ভোটের আগে নেত্রীর মারাত্মক নজির, রঙের উৎসবও হার মানাবে!
অর্থাৎ, বিজেপি সহ বাকি বিরোধীদের 'বহিরাগত' কটাক্ষের জবাবে প্রধানমন্ত্রী মোদীকেই ঢাল করেছেন লোকসভা ভোটে অধীর চৌধুরীর প্রতিপক্ষ ইউসুফ পাঠান। প্রধানমন্ত্রী মোদী গুজরাটের বাসিন্দা হলেও ভোটে লড়েন উত্তরপ্রদেশের বারাণসী থেকে। ইউসুফ বোঝাতে চেয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী যদি এক্ষেত্রে 'বহিরাগত' না হন তাহলে তাঁর ক্ষেত্রেও ওই তকমা খাটে না।
ইউসুফের পাল্টা অধীর চৌধুরী বলেছেন, 'এখন টাকার বদলে খেলার যুগ। যেসব খেলোয়াড়কে মাঠে নামানো হয়েছে প্রতিপক্ষ হিসাবে তাঁরা টাকার বিনিময়ে এসেছেন। আর আমরা খেলি আবেগ দিয়ে। টাকার বিনিময়ে খেলে বলেই অনেক টি-২০ খেলোটারকে দেখেন হারিয়ে যায়। এঁরাও তাই। জিতুক বা হারুক একবার খেলা হয়ে গেলেই চলে যাবে। আর যাঁরা আমাদের মত আবেদ নিয়ে খেলেন তাঁরা ফলাফল না দেখেই মানুষের পাশে থাকেন।'
বহরমপুর লোকসভায় ৫২ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোট। বহরমপুরে জয় পরাজয়ের ক্ষেত্রে এই ভোট অন্যতম বড় ফ্যাক্টর।