'জেড প্লাস' নিরাপত্তা বেষ্টনীতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। মঙ্গলবার থেকেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। ওই দিন সল্টলেকের সাই -কমপ্লেক্সে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাজ্যপাল। দেখা যায়, 'জেড প্লাস' সুরক্ষা বলয় পরিবৃত হয়েই অনুষ্টানে হাজির হয়েছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান।
রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা আবৃত থাকেন। এবার থেকে প্রথম দু’টি স্তরের সুরক্ষা বলয়ের ভার থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরে। তারপর থাকছে পুলিশ। অর্থাৎ, রাজ্যপালের নিরাপত্তা হিসেবে নবান্ন থেকে যে ব্যবস্থা করেছিল, তা বহাল রয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজ্যপালের নিরাপত্তা নিয়ে নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত
রাজ্যপাল হয়ে বাংলায় আসার পর থেকেই রাজ্যের সঙ্গে নানা করাণে বারে বারে সংঘাতে জড়িয়েছেন জগদীপ ধনকড়। গত সেপ্টেম্বরের ১৯ তারিখ যাদবপুরে রাজ্যপালকে ঘেরাও ও পড়ুয়া বিক্ষোভের পরই বাংলার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। পরে, রাজভহনের তরফে রাজ্যপালের নিরাপত্তার কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয় কেন্দ্রের কাছে। এর আগে রাজ্যপালের জন্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকতেন কেবল পুলিশই। রাজ্যের সাংবিধাননিক প্রধানের দাবিকে মান্যতা দেয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ধনকড়ের সুরক্ষার দায়িত্বভার দেওয়া হয় সিআরপিএফ-কে।
আরও পড়ুন: ‘আমার আর মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে যা ঘটেছে, তা নিয়ে কখনই মুখ খুলিনি’, ফের বিস্ফোরক রাজ্যপাল
রাজ্যপালের নিরাপত্তা ঘিরে শুরু হয় রাজ্য-কেন্দ্র সংঘাত। কোনওরকম আলোচনা ছাড়াই রাজ্যের থেকে এভাবে 'ক্ষমতা' কেড়ে নেওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি দিয়েছিল নবান্ন। চিঠিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে আরও একবার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে দেখার আর্জি জানানো হয়েছিল। চিঠিতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কেন রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করেই কেন্দ্র একতরফাভাবে রাজ্যপালের নিরাপত্তায় আধাসেনা মোতায়েনের মতো সিদ্ধান্ত নিল?
সেই চিঠির প্রেক্ষিতে অবশ্য সিদ্ধান্ত বদলকরেনি কেন্দ্র। মঙ্গলবার থেকে রাজ্যপালের নিরাপত্তায় যোগ দেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, ৬ জন সিআরপিএফ জওয়ানকে নিয়ে একটি গাড়ি সবসময় রাজ্যপালের কনভয়ের সঙ্গে থাকবেন। রাজ্যপালের নিরাপত্তায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি।
Read the full story in English