পরিচয়ে সে ইন্দো-আমেরিকান! ১১ বছরের নাতাশার এই সাফল্য সকলকেই মুগ্ধ করার মতো। SAT এবং ACT মানসম্মত পরীক্ষায় তার অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য একটি শীর্ষ মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে বিশ্বের সবচেয়ে মেধাবী ছাত্রী হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। এত অল্প বয়সেই, তার এই অসামান্য কীর্তি নজর কেড়েছে অনেকেরই।
স্কোলাস্টিক অ্যাসেসমেন্ট টেস্ট (SAT) এবং আমেরিকান কলেজ টেস্টিং (ACT) উভয়ই মানসম্মত পরীক্ষা যা অনেক কলেজ কর্তৃপক্ষ ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির ক্ষেত্রে বা তাদের আদৌ কলেজে ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা আছে কিনা তা নির্ধারণ করতে ব্যবহার করে। কিছু ক্ষেত্রে, নানান কোম্পানি এবং কর্পোরেটের তরফ থেকেও এই স্কোরগুলিকে মেধাভিত্তিক বৃত্তি প্রদানের জন্য ব্যবহার করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী, সকল কলেজেই শিক্ষার্থীদের SAT অথবা ACT গ্রহণ করতে হবে এবং তাদের স্কোর তাদের সম্ভাব্য বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দিতে হবে।
নিউ জার্সির থেলমা এল স্যান্ডমায়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাতাশা পেরি, জনস হপকিন্স সেন্টার ফর ট্যালেন্টেড ইয়ুথ ট্যালেন্ট সার্চের অংশ হিসেবে গৃহীত SAT-ACT বা অনুরূপ মূল্যায়নে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স তাকে এনে দিয়েছে এই সম্মাননা। ২০২০-২১ এর ট্যালেন্ট সার্চ অনুষ্ঠানে যোগদান করা ১৯০০০ প্রতিযোগীর মধ্যে একজন নাতাশা। প্রায় ৮৪টি দেশ থেকে ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেন এই অনুষ্ঠানে। সকলের মধ্যে থেকে এমন দারুণ সাফল্য সত্যিই প্রশংসনীয়। সিটিওয়াই বিশ্বব্যাপী উজ্জ্বল শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করে এবং তাদের প্রকৃত অ্যাকাডেমিক দক্ষতার একটি পরিষ্কার চিত্র সরবরাহ করে। যাতে শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় বেশ লাভ হয়।
নাতাশা নিজে যথেষ্ট আপ্লুত এই সম্মান পেয়ে। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াকালীন সে ট্যালেন্ট সার্চের এই পরীক্ষায় অংশ নেয়। এটি তার জীবনে এক দারুণ অনুপ্রেরণা হিসেবেই কাজ করবে বলে সে জানায়। এছাড়াও তার ডুদলিং এবং জেআর আর টলকিনের উপন্যাস পড়া হয়তো তার জন্য ভীষণ ভাবে কাজ করেছে।
আরও পড়ুন পেগাসাস কাণ্ডে আরও চাপে ভারত, NSO গ্রুপের বহু অফিসে তল্লাশি ইজরায়েল সরকারের
জনস হপকিন্স নীতির অংশ হিসাবে, উপন্যাস সংক্রান্ত কোনও তথ্য বয়স বা জাতি দ্বারা বিভক্ত করা হয় না। অনুরূপভাবে, অভিভাবকের উপর ছেড়ে দেওয়া হয় যে উপন্যাসটির নাম প্রকাশ করা হবে কিনা। পুরষ্কারপ্রাপ্তদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্য থেকেই বেছে নেওয়া হয়। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে মাত্র ২০% পড়ুয়া এই সম্মান পেয়েছে। সিটিওয়াইয়ের নির্বাহী পরিচালক ভার্জিনিয়া রোচ এক বিবৃতিতে বলেন , ছাত্রছাত্রীদের এই সাফল্য উদযাপন করতে পেরে যথেষ্ট আপ্লুত তিনি। তাদের এত শেখার ইচ্ছে, চেষ্টা এবং উদ্যম আজকের ফলাফল। তাদের ভবিষ্যতের পথে সহায়তা করতে পারে এবং উচ্চ শিক্ষার প্রতি এগিয়ে দিতে পেরে ভীষণ আপ্লুত তিনি।
শেখবার কোনও শেষ নেই, পড়ার কোনও অন্ত নেই! নিজেকে খুঁজে পেতে অধ্যয়ন এর চেয়ে ভালও বোধহয় কিছুই হতে পারে না।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন