যুদ্ধে এ পর্যন্ত ১১ হাজারের বেশি রাশিয়ান সৈন্য নিহত হয়েছে, দাবি করেছে ইউক্রেন। ইউক্রেন জানিয়েছে মস্কোর আক্রমণের একাদশ দিনেও তুমুল লড়াই জারী রয়েছে। দক্ষিণের শহর মাইকোলাইভে ভয়াবহ যুদ্ধের খবর পাওয়া গেছে।
সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, শনিবার সংক্ষিপ্ত যুদ্ধবিরতির পর বন্দর নগরী মারিউপোলে আবারও গোলাবর্ষণ শুরু হয়েছে রুশ সেনা। ক্রেমলিনের আক্রমণের শিকার হওয়া ইউক্রেনের বড় শহরগুলিতে আটকে থাকা সাধারণ নাগরিকদের মানব করিডোরের অনুমতি দেওয়ার জন্য বিশ্বব্যাপী আবেদন করা হয়েছে। ইউক্রেন দাবি করেছে মস্কো যুদ্ধে নিরীহ নাগরিকদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। এদিকে রাস্ট্র সংঘের তথ্য অনুসারে এপর্যন্ত ইউক্রেন ছেড়ে বেরিয়ে গেছেন প্রায় ১৫ লক্ষ সাধারণ মানুষ।
এদিকে ইউক্রেন আরও দাবি করেছে হামলা চালানো হচ্ছে হাসপাতাল গুলিতে। এই হামলার বিষয়টি মেনে নিয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ইতিমধ্যে বেশ কয়েক জায়গায়, হাসপাতাল এবং প্রসূতি হোমে হামলার খবর মিলেছে তার ফলে বেশ কয়েকজন প্রাণ হারিয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মীদের ওপরেও হামলার একাধিক খবর আসতে শুরু করেছে ইউক্রেনের একাধিক শহর থেকে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা কড়া বার্তায় জানিয়েছে, এই হামলা চালানো নিন্দনীয় এবং রাশিয়া আন্তর্জাতিক মানবিকতাকে লঙ্ঘন করছে।
এদিকে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কির একজন উপদেষ্টা রবিবার টুইট করে জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই ১১ হাজার রুশ সেনাকে নিকেশ করেছে ইউক্রেন। সেই সঙ্গে রাশিয়ার প্রায় ৩০০ ট্যাঙ্ক, ৪০ টিরও বেশি বিমান এবং ৪৮ টি হেলিকপ্টার ধ্বংস করেছে ইউক্রেন সেনা। ধ্বংস করা হয়েছে কয়েক ডজন আর্টিলারি সিস্টেম। এদিকে প্রায় চার পাঁচ দিন জল বিদ্যুৎ হীন, মারিউপোলেও ভারী হামলা জারী রেখেছে রুশ সেনা। একের পর এক গোলাবর্ষণে কেঁপে উঠেছে শহর। প্রায় চারলক্ষ মানুষ শহরে আটকে রয়েছেন দাবি ইউক্রেন প্রশাসনের।
অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি, পশ্চিমী দেশগুলির কাছে যুদ্ধ বিমানের আবেদন জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে নিয়ে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গেও। অন্যদিকে খাকিভেও জারী রয়েছে রুশ হামলা। খারকিভে রাতের অন্ধকারে নির্বিচারে হামলার দাবি জানিয়েছেন ইউক্রেন প্রশাসন। শনিবার রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিন যুদ্ধের জন্য কিয়েভকেই দায়ি করে জানিয়েছেন ইউক্রেন এখন অস্তিত্বের সংকটে রয়েছে।