একদিকে চলছে আলোচনা, অন্যদিকে চলছে যুদ্ধ। তার মাঝেই সুন্দর দেশ ইউক্রেন আজ পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তুপে। বিপন্ন শৈশব। একের পর এক আঘাতে ক্ষতবিক্ষত ইউক্রেন। তার মধ্যেই গত দু দিনে একাধিক হামলার বলি হয়েছেন অসংখ্যা নিরপরাধ মানুষ। ক্ষেপণাস্ত্রের (Missile) আঘাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না আবাসন থেকে শুরু করে হাসপাতাল। বৃহস্পতিবারও পূর্ব ইউক্রেনের একটি শহরে গোলাবর্ষণ করে রাশিয়া। ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে কমপক্ষে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ২৫ জন।
ইউক্রেন প্রশাসন সূত্রে খবর পূর্ব ইউক্রেনের মেরেফা শহরকেই গতকাল নিশানা বানিয়েছিল রুশ সেনা। খারকিভের ঠিক বাইরেই অবস্থিত এই শহরের উপর সকাল থেকেই গোলাবর্ষণ শুরু হয়। ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ে স্কুল ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উপরে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় রাশিয়া। ভেঙে গুড়িয়ে যায় বড় বড় আবাসন, বাড়িঘর ও প্রশাসনিক কার্যালয়গুলিও।
একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য তুলে ধরেছে ইউক্রেন প্রশাসন। পোস্টে বলা হয়েছে এখনও অবধি কমপক্ষে ২১ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে ধ্বংসস্তূপের ভিতর থেকে। যে ২৫ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ধ্বংসস্তূপের ছবিও প্রকাশ করা হয় প্রশাসনের তরফে। সেই ছবিতে দেখা যায়, বহুতল বিল্ডিংগুলি প্রায় মাঝখান থেকে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। মিসাইলের আঘাতে রীতিমত ধ্বংসস্তুপে পরিনত হয়েছে বহুতল বিল্ডিংগুলি।
আরো পড়ুন: আত্মসমর্পণ করছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি, ডিপফেক ভিডিও ঘিরে শোরগোল
তার মাঝেই মারিউপোলে একটি থিয়েটারে নির্বিচারে হামলার অভিযোগ রুশ সেনার বিরুদ্ধে। ইউক্রেন প্রশাসন সূত্রে খবর হামলার হাত থেকে বাঁচার জন্য সেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন কয়েকশো মানুষ। তাদের মধ্যে রয়েছে মহিলা এবং শিশুও। হামলার ভয়াবহতা এতটাই যে এখনও হতাহতের প্রকৃত তথ্য সামনে আনতে পারে নি ইউক্রেন প্রশাসন। মারিউপোল সিটি কাউন্সিলের তরফে একটি ছবি শেয়ার করা হয়েছে সেখানে দেখানো হয়েছে কীভাবে রুশ সেনা হামলা চালিয়েছে থিয়েটারে।এই হামলার কড়া নিন্দা করেছে আমেরিকা।
এদিকে রাশিয়ার আক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে সরাসরি আমেরিকার কাছে সাহায্যের অনুরোধ করেছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। আমেরিকার আইন প্রণেতাদের কাছে জেলেনস্কির আবেদন, ‘‘আমাদের এখনই আপনাদের সাহায্যের প্রয়োজন।’’ আমেরিকার প্রেসিডেন্টের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনার কাছে আমাদের আবেদন, শান্তি ফেরাতে রাশিয়ার উপর অর্থনৈতিক আঘাত হানা প্রয়োজন।’
Read story in English