রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদের সদস্যপদ খোয়াতেই ইউক্রেনের উপর চরম আক্রমণ নামিয়ে আনল রাশিয়া। পূর্ব ইউক্রেনের একটি রেলস্টেশনে আছড়ে পড়ল রুশ রকেট। অন্তত ৩০ জনের বেশি নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন রকেট হামলায়। আহত ১০০-রও বেশি। শুক্রবার ইউক্রেনের উপর এই হামলাকে বর্বরোচিত বলে তোপ দেগেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি।
জানা গিয়েছে, আন্তর্জাতিক মহলে সবদিক থেকে কোণঠাসা রাশিয়া ইউক্রেনে চরম প্রতিশোধ নিতে পারে বলে আশঙ্কা ছিলই। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসংঘের অধিবেশনে মানবাধিকার পরিষদের সদস্যপদ খারিজ হতেই রাশিয়া প্রতিহিংসার আগুনে জ্বলে ওঠে। শুক্রবার হামলার আশঙ্কায় তড়িঘড়ি নিরাপদ স্থানে যাওয়ার জন্য ক্রামাতোর্স্ক স্টেশনে ট্রেন ধরতে এসেছিলেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু রুশ রকেট হানায় মুহূর্তে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।
দোনেৎস্ক অঞ্চলে অবস্থিত এই স্টেশন। এই অঞ্চলকে আগেই স্বাধীন হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে রাশিয়া। কিন্তু পুতিনের আক্রমণের হাত থেকে বাঁচল না এই এই অঞ্চলও। এই হামলার জেরে আন্তর্জাতিক মহলে ফের একবার রাশিয়ার হিংস্র-প্রতিহিংসাপরায়ণ চরিত্র বেআব্রু হয়ে গেল।
আরও পড়ুন বরখাস্ত রাশিয়া, জোট নিরপেক্ষ অবস্থান বজায়ে কৌশলী পদক্ষেপ দিল্লির
এদিকে, ইউক্রেনের উপর ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। কিয়েভ সংলগ্ন শহরগুলিতে নিহত হয়েছেন শয়ে শয়ে মানুষ। রাস্তায় ছড়িয়ে পড়েছিল লাশ। নিরাপরাধ সাধারণ ইউক্রেনীয়দের উপর পুতিন বাহিনীর এই হামলার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিল ওয়াশিংটন। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এ জন্য মস্কোর বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশের দাবি তোলে আমেরিকা। যার জেরে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার মানবাধিকার পরিষদ থেকে রাশিয়াকে বরখাস্ত করা হল।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রস্তাব ঘিরে ভোটাভুটিও হয়। ১৯৩টি সদস্য দেশের মধ্যে ৯৩ জন সদস্য দেশ রাশিয়াকে বরখাস্তের পক্ষে ভোট দিয়েছে। ২৪টি সদস্য দেশ মস্কোর পক্ষে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। ভোটাভুটি থেকে বিরত থেকেছে ৫৮টি দেশ। এর মধ্যে ভারতও ছিল। রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস তিরুমূর্তি জানিয়েছেন, ভারত ভোটদানে বিরত থেকেছে।