বাংলাদেশে যাত্রীবাহী লঞ্চে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড। মর্মান্তিক এই ঘটনায় কমপক্ষে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ শতাধিক। আহতদের বরিশালের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোর তিনটে নাগাদ ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করা বরগুনাগামী এমভি অভিজান-১০ লঞ্চের ইঞ্জিন রুমে আগুন লাগে।
বাংলাদেশে লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ৩৬ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। স্থানীয় এক প্রশাসনিক কর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবার ভোররাতে দক্ষিণ বাংলাদেশে ফেরিতে আগুন লেগে কমপক্ষে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। শতাধিক ব্যক্তি অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। ঢাকা থেকে আড়াইশো কিলোমিটার দূরে গ্রামীণ শহর ঝাককাঠির কাছে সুগন্ধা নদীতে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
এদিন ভোরে মাঝ নদীতে থাকা ওই লঞ্চের ইঞ্জিন রুমে আচমকা আগুন লেগে যায়। মুহূর্তে সেই আগুন ভয়াবহ আকার নেয়। গোটা লঞ্চেই ছড়িয়ে পড়ে আগুন। স্থানীয় এক প্রশাসনিক কর্তা এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ''মাঝ নদীতে থাকাকালীন তিনতলা এমভি অভিজান-১০ লঞ্চে আগুন লাগে। ৩২টি মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।''
অন্যদিকে, স্থানীয় পুলিশ প্রধান মইনুল ইসলাম সংবাদসংস্থা এএফপি-কে বলেছেন, ''লঞ্চের বেশিরভাগ যাত্রীই আগুনে পুড়ে এবং কয়েকজন নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার পরে ডুবে মারা যান। বরিশালের হাসপাতালে প্রায় ১০০ জনকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় পাঠানো হয়েছে।''
আরও পড়ুন- দেশের দৈনিক সংক্রমণ-মৃত্যু নিম্নমুখী, চিন্তা বাড়িয়ে ওমিক্রন আক্রান্ত সাড়ে তিনশো পার
জানা গিয়েছে, জাহাজটিতে মোট ৫০০ জন ছিলেন। আগুনে কম-বেশি ২০০ জন জখম হয়েছেন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চলতি বছরে এই নিয়ে বাংলাদেশে একের পর ক মর্মান্তিক ঘটনায় বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরের জুলাই মাসে শিল্পনগরী রূপগঞ্জে একটি খাদ্য ও পানীয় কারখানায় আগুন লাগে। সেই অগ্নিকাণ্ডে ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। অগাস্টে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের একটি হ্রদে নৌকা এবং একটি বালি বোঝাই পণ্যবাহী জাহাজের সংঘর্ষে ২০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
Read full story in English
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখন টেলিগ্রামে, পড়তেথাকুন