পবিত্র ইদের আবহে রক্তাক্ত প্যালেস্তাইন। বিধ্বস্ত ইজরায়েলেও। ইজরায়েল ও হামাসের সংঘর্ষের জেরে এখনও পর্যন্ত অন্তত ১৭টি শিশু-সহ ৮৩ জন প্যালেস্তানীয় নিহত হয়েছেন। জখম হয়েছেন আরও ৪৮০ জন। এমনটাই দাবি গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের। এদিকে, ইজরায়েলের তরফে দাবি, একজন টহলদার পুলিশকর্মী ও ভারতীয় মহিলা-সহ ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। দুটি শিশুও রয়েছে নিহতের তালিকায়।
এদিকে, বুধবারই গাজায় সামরিক শক্তি প্রদর্শন দেখিয়েছে ইজরায়েলি বায়ুসেনা। গাজা ভূখণ্ডে এয়ার স্ট্রাইক করে অন্তত ১০ জন শীর্ষ হামাস জঙ্গিনেতাকে নিকেশ করার দাবি করেছে ইজরায়েল। সেইসঙ্গে পরপর রকেট হানায় গাজার এক জোড়া বহুতল সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে দিয়েছে বায়ুসেনা। ইতিমধ্যেই ইজরায়েল-প্যালেস্তাইনের সংঘর্ষে পশ্চিম এশিয়ায় ইদ উল-ফিতরের আনন্দ কান্নায় বদলে গিয়েছে। দুই পক্ষের সংঘর্ষের জেরে মধ্যপ্রাচ্য তো বটেই, আন্তর্জাতিক মহলও দ্বিধাবিভক্ত।
মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে ফোন করে আমেরিকার সমর্থনের কথা জানান। তিনি নেতানিয়াহুকে আশ্বস্ত করেছেন, গাজা থেকে হামাসের রকেট হানার প্রত্যাঘাত করার সম্পূর্ণ অধিকার আছে ইজরায়েলের। আমেরিকা ইজরায়েলের পাশে রয়েছে। অপরদিকে, "পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানিয়েছেন, আমি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে গাজা এবং প্যালেস্তাইনের পাশে আছি।"
এদিকে, দুই পক্ষের সংঘর্ষ বন্ধ করতে রাষ্ট্রসংঘের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশগুলিও সচেষ্ট। বৃহস্পতিবার ইজরায়েলের তেল আভিভে আসে মিশরের প্রতিনিধি দল। ইজরায়েলি আমলাদের সঙ্গে আলোচনা করে প্যালেস্তাইনের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতির প্রস্তাব দেন তাঁরা। তাঁরা গাজায় হামাসের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও কথা বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান দিয়ে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করছে মিশর। যদিও ওই দেশের বিদেশ মন্ত্রী বুধবার গাজার উপর হামলার জন্য ইজরায়েলের সমালোচনা করেন।