কাউকে রেয়াত করা হবে না। ইউক্রেনের ওপর হামলার জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তাঁর সহযোগীদের সবার বিচার করা হবে। যুদ্ধাপরাধের অপরাধে তাদের সাজা হবে। যুদ্ধের তীব্রতার মধ্যেও এই হুঁশিয়ারি বারবার শোনা গিয়েছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির মুখে। যুদ্ধের গতি কমেছে। তবে, রুশ হামলা একেবারে যে বন্ধ হওয়া, তা হয়নি। পুতিন ও অতিঘনিষ্ঠ সহযোগীরা ক্রেমলিনের নিরাপদ আশ্রয়ে। তাই বলে সময় নষ্টে নারাজ জেলেনস্কি প্রশাসন। যুদ্ধে রুশ সেনার যে জওয়ানরা ধরা পড়েছেন, তাঁদের দিয়েই শুরু হয়ে গেল যুদ্ধাপরাধের বিচারপর্ব।
বিচারের প্রথমদিন কাঠগড়ায় তোলা হল রাশিয়ার সেনার প্রাক্তন সার্জেন্ট ভাদিম শিশিমারিনকে। রুশ হামলার বয়স তখন সবে চার দিন, দিনটা ২৮ ফেব্রুয়ারি। বছর ২১-এর শিশিমারিন তখন সুমি অঞ্চলের এক গ্রামে। কর্তাদের নির্দেশে গাড়ির খোলা জানালা দিয়ে তিনি এক ইউক্রেনীয় গাড়িচালককে গুলি করে হত্যা করেন বলে অভিযোগ। পরে ধরা পড়েন। কিন্তু, সুমির সেই অপরাধ তাঁর পিছু ছাড়েনি। সেই অপরাধেরই বিচারপর্বে শিশিমারিন এখন ইউক্রেনের কাঠগড়ায়। বিচার চলাকালীন তাঁর থেকে কয়েক হাত দূরে বসেছিলেন নিহত আলেকজান্ডার শেলিপভের স্ত্রী বছর ৬২-র ক্যাটেরিনা শেলিপোভা। বিচার চলাকালীন এক অদ্ভূত দৃশ্যের সাক্ষী হল আদালত। ক্যাটেরিনার কাছে রীতিমতো ক্ষমাপ্রার্থনা করলেন অভিযুক্ত রুশ জওয়ান। হাত জোড় করে ভরা আদালত কক্ষেই বললেন, 'আমি জানি আমাকে ক্ষমা করতে পারবেন না। তবুও আমি আপনার কাছে ক্ষমা চাইছি।'
আরও পড়ুন- বড় সুখবর! দাম কমতে পারে পাম অয়েলের, রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলছে ইন্দোনেশিয়া
পাশাপাশি, অভিযুক্ত রুশ জওয়ান বিচারককে বোঝানোর চেষ্টা করলেন, তিনি শুধু নির্দেশ পালন করেছেন। কমান্ডিং অফিসার তাঁকে গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিল। সেনাবাহিনীর জওয়ান হিসেবে সেই নির্দেশ পালন করাই তাঁর কাজ। তিনি সেইমতো নির্দেশ পালন করেছেন। আর, স্বামীহারা ক্যাটেরিনা শেলিপোভা আদালতে বললেন, 'আমার স্বামীই পরিবারের সবকিছু ছিল। তিনিই গোটা পরিবারটা চালাতেন। ঘটনার সময় তিনি বাড়ির সামনেই ছিলেন। সেখানেই তাঁকে খুন করা হয়।' জেলেনস্কি প্রশাসন জানিয়েছে, যতদিন না-হামলাকারী প্রত্যেক রুশ যুদ্ধাপরাধীকে সাজা দেওয়া যাচ্ছে, ততদিন এই বিচারপর্ব চলবে।
Read full story in English