Afghanisthan Crisis: সুরক্ষার জন্য সাজা হিসেবে হাত কেটে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করলেন তালিবান নেতা। তাঁর দাবি, ‘জনমানসে প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে অপরাধীদের শাস্তি হিসেবে অঙ্গহানি দরকার।‘ আফগানিস্তানের প্রথম তালিবান আমলে ন্যায় মন্ত্রী ছিলেন মোল্লা নুরুদ্দিন তুরাবি। বর্তমান শাসনকালে কারা দফতরের দায়িত্বে তালিবানের অন্যতম এই প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য। আন্তর্জাতিক এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তুরাবি বলেন, ‘অন্য দেশের বিচারব্যবস্থা নিয়ে আমরা কথা বলিনি। তবে তারা কেন আমাদের বিচারব্যবস্থার সমালোচনা করে। আফগানিস্তান ইসলাম মেনে চলে আর কোরান মতেই আমরা আইন তৈরি করব।‘
প্রথম তালিবান শাসন আমলে অপরাধীদের প্রকাশ্যেই সাজা দিত তালিবান। তবে সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সেই সাজা কার্যকর নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। বর্তমান তালিবান শাসকেরা আগের মতোই পাপে গুরু দণ্ডের পক্ষে থাকলেও, সেটা প্রকাশ্যে কার্যকর হবে কিনা। সেই বিষয়ে ঐক্যমতে পৌছয়নি। আগে খুনে সাজাপ্রাপ্তদের মাথায় গুলি করে হত্যা করা হত। চুরিতে সাজাপ্রাপ্তদের একটা হাত কেটে দেওয়া হত। জাতীয় সড়কে ডাকাতি করলে একটা হাত এবং পা কেটে নেওয়া হত। সেই সাজা এবারেও বলবৎ করা হবে বলে সাক্ষাৎকারে ঘোষণা করেছেন কারামন্ত্রী।
তবে আগের থেকে অনেকটা সংশোধিত তালিবান। সাক্ষাৎকারে এই দাবি করেছেন এই কট্টরপন্থী তালিবান নেতা। তিনি যখন আইনমন্ত্রী ছিলেন, তখন একাধিক নীতি কার্যকর করেছিলেন। পুরুষদের দাড়ি ছাঁটা হলে মারধর, দিনে পাঁচবার মসজিদে নমাজ পাঠ। এবং তিনি চেয়েছিলেন সরকারি অফিসে পুরুষদের পাগড়ি বাধ্যতামূলক করতে।
তবে বর্তমান শাসনকালে সময়ের চাহিদা মেনে টিভি, মোবাইল, ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফির অনুমতি দিয়েছে তালিবান সরকার। সংগঠন এবং সরকারের নীতি লক্ষ-কোটি মানুষের কাছে পৌঁছতে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সহযোগিতার নীতি নিয়েছে তালিবান সরকার। এমনটাই দাবি করেন তুরাবি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন