তিন দিনের ইউরোপ সফরে ইউক্রেন ইস্যুতে দৃষ্টিভঙ্গী বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি, দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব জোরদার করাও তাঁর এই সফরের অন্যতম লক্ষ্য। রবিবার একথাই জানিয়েছেন নবনিযুক্ত বিদেশসচিব বিনয়মোহন কোয়াত্রা। প্রথামতোই রবিবার তাঁর সফর শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রী একটি বিবৃতি দিয়েছেন। সেই বিবৃতিতে তিনি সরাসরি রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের কোনও উল্লেখ করেননি। শুধু, বিষয়টির ছোঁয়া রেখে বলেছেন, 'আমার ইউরোপ সফর এমন সময়ে শুরু হচ্ছে, যখন অঞ্চলটি অনেক চ্যালেঞ্জ এবং পছন্দের মুখোমুখি হয়েছে। যাঁরা শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী, আমি আমার কাজের মাধ্যমে সেই সমস্ত ইউরোপীয় অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতার চেতনাকে শক্তিশালী করতে চাই।'
রবিবার রাতেই মোদি জার্মানির উদ্দেশ্যে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার বার্লিনে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজের সঙ্গে তাঁর বৈঠক। তারপরে যাবেন ডেনমার্কে। কোপেনহেগেনে ডেনিশ প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেনের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন। মঙ্গলবার আইসল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, সুইডেন এবং নরওয়ের প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গেও দ্বিতীয় ভারত-নর্ডিক সামিটে অংশ নেবেন নরেন্দ্র মোদী। বুধবার ভারতে ফেরার পথে, তিনি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে প্যারিসে বৈঠক করবেন।
এটাই এবছর প্রধানমন্ত্রীর প্রথম বিদেশ সফর। তিন দিনের এই ইউরোপ সফরে মোদী প্রায় দুই ডজন কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন। সফর করবেন তিনটি দেশ। যেখানে কাটাবেন প্রায় ৬৫ ঘণ্টা। সাতটি দেশের বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে তিনি দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক বৈঠক করবেন। প্রায় ৫০জন বিশ্বমানের শিল্পপতির সঙ্গেও করবেন মতবিনিময়।
আরও পড়ুন- কেন আফগানিস্তানে বিমান হামলা চালাল পাকিস্তান
তার জার্মানি সফর সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এই বার্লিন সফরে চ্যান্সেলর স্কোলজের সঙ্গে বিশদ দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করার একটি সুযোগ হবে। আমি গত বছর তাঁর সঙ্গে জি-২০ তে বৈঠক করেছি। সেই সময় তিনি অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। আমরা ষষ্ঠ ভারত-জার্মানি ইন্টার-গভর্নমেন্টাল কনসালটেশনের (আইজিসি) যুগ্মসভাপতিত্ব করব। এটি একটি অনন্য কর্মসূচি। যা ভারত শুধুমাত্র জার্মানির সঙ্গেই আয়োজন করে থাকে। ভারতের কয়েকজন মন্ত্রীও এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে জার্মানি যাবেন। জার্মানির মন্ত্রীরাও সেখানে উপস্থিত থাকবেন।'
জার্মানির নতুন প্রশাসনের সঙ্গে এই প্রথম আইজিসিতে অংশ নিচ্ছে ভারত। মাত্র ছয় মাস হল জার্মানিতে নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। আইজিসিতে আলোচনার মাধ্যমে ভারত এবং জার্মানি কোন কাজে কতটা অগ্রাধিকার দেবে, তা চিহ্নিত করবে। ২০২১ সালে ভারত ও জার্মানির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৭০ বছর পূর্তি হয়েছে। পাশাপাশি গত ২২ বছর ধরে ভারত ও জার্মানি কৌশলগত অংশীদার। জার্মানি সফরে সেই সম্পর্ক নতুন করে ঝালিয়ে নিতে চান প্রধানমন্ত্রী।
Read story in English