আল-কায়দা জঙ্গিগোষ্ঠীর শীর্ষ নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরিকে ড্রোন স্ট্রাইকে খতম করল আমেরিকা। সোমবার এ খবর নিশ্চিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বাইডেনের দাবি, ২০১১ সালে আল-কায়দার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনের নিকেশের এক দশক পর এটাই সবথেকে বড় ধাক্কা। মিশরের চিকিৎসক জাওয়াহিরির মাথার দাম ছিল ২.৫ কোটি মার্কিন ডলার। জাওয়াহিরি ২০০১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার অন্যতম অভিযুক্ত। সেই হামলায় অন্তত ৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
মার্কিন আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ড্রোন হামলায় আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে রবিবার ভোর ৬.১৮ মিনিট নাগাদ মৃত্যু হয় জাওয়াহিরির। বাইডেন বলেছেন, "এবার বিচার মিলল। জঙ্গিনেতা খতম!" হোয়াইট হাউস থেকে বিশেষ বার্তায় তিনি জানান, "যতদিন লাগুক না কেন, যেখানেই লুকান না কেন, মানুষের যে আতঙ্ক তাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুঁজে বের করবেই।"
মার্কিন ইন্টেলিজেন্সের দাবি, যাঁর মৃত্যু হয়েছে সে জাওয়াহিরি কি না তা অনেক ভাবে খতিয়ে দেখে নিশ্চিত হয়েছেন তাঁরা। কাবুলে নিজের পরিবারের সঙ্গে গোপন আস্তানায় ছিল জাওয়াহিরি। সেখানে বাড়ির ব্যালকনিতে বসে থাকা অবস্থায় ড্রোন হামলা হয়। এতে আর কারও মৃত্যু হয়নি। বাইডেন বলেছেন, জাওয়াহিরি কেনিয়া এবং তানজানিয়ায় মার্কিন দূতাবাসে হামলার নেপথ্যেও ছিল জাওয়াহিরি।
এক মার্কিন গোয়েন্দা আধিকারিকের মতে, জাওয়াহিরির মৃত্যু আল-কায়দার জন্য বিরাট ধাক্কা। এতে জঙ্গিগোষ্ঠীর মেরুদণ্ড ভেঙে যাবে। এর আগে বেশ কয়েক বছর ধরে জাওয়াহিরির মৃত্যুসংবাদ ছড়ায়। এমনও গুজব ছড়ায় যে জাওয়াহিরির অসুস্থ হয়ে মারা গিয়েছে। গত বছর আফগানিস্তান তালিবান দখন করে নেওয়ার পর জাওয়াহিরিকে কাবুলে আশ্রয় দেওয়ার খবর পায় আমেরিকা।
আমেরিকার আশা ছিল, তালিবান আল-কায়দা নেতাদের কোনওভাবে সাহায্য করবে না। গত ২০২১ সালের অগস্ট মাসে মার্কিন সেনা ও আধিকারিকরা আফগানিস্তান ছাড়ার পর এটাই প্রথম ড্রোন হামলা করল আমেরিকা। এদিকে, তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ ড্রোন স্ট্রাইকের খবর নিশ্চিত করেছেন, এবং তীব্র নিন্দা করেছেন হামলার। আন্তর্জাতিক নীতিবোধ লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন তিনি।