Afghanisthan Crisis: বুধবার হুমকি এসেছিল, আত্মসমর্পণ না করলে ফল ভুগতে হবে। কিন্তু সেই হুমকিকে উপেক্ষা নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের। উত্তর কাবুলে পাঞ্জশিরে এখনও মাসুদের প্রতিরোধ বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ চালাচ্ছে তালিবানরা। দুই তরফেই প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির দাবি করা হয়েছে। গোটা আফগানিস্তান তালিবানের সশস্ত্র বাহিনীর কব্জায় গেলেও, ব্যতিক্রম পাঞ্জশির। গত দুই সপ্তাহ ধরে এই এলাকায় তালিবানকে বেগ দিচ্ছে প্রতিরোধ বাহিনী। প্রবল প্রতিপক্ষের মুখে পড়ে কিছুটা হলেও এই এলাকায় ছন্নছাড়া তালিবান। এমনটাই স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর। ইতিমধ্যে আত্মসমর্পণের সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছে মাসুদ এবং তাঁর বাহিনী।
এদিকে, তোড়জোড় তুঙ্গে। আফগানিস্তানে তালিবানের সরকার তৈরি হওয়া সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করা হচ্ছে। তালিবান সরকারের কর্তৃত্ব থাকবে কার হাতে? এই প্রশ্নটাই গত কয়েকদিন ধরে ঘুরপাক খাচ্ছিল বিভিন্ন মহলে। অবশেষে এব্যাপারে সিদ্ধান্ত পাকা করে ফেলেছে তালিবান। আফগানিস্তানের নতুন সরকার চলবে হেবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার নির্দেশে। আফগান সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে।
কুড়ি বছর পর ফের তালিবান-রাজ ফিরেছে আফগান মুলুকে। আমেরিকান সেনা আফগানিস্তান ছাড়তে শুরু করার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই গোটা দেশের দখল নিয়েছে তালিবান। তালিবানি যোদ্ধারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গোটা আফগান মুলুকে। এদিকে, গত কয়েক দিন ধরেই আফগানিস্তানের নতুন সরকার তৈরি নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছিল তালিবান নেতৃত্বের মধ্যে। তবে এবার সেই আলোচনা পাকা হয়েছে।
আফগান সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজের খবর অনুযায়ী, আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের মাথায় বসতে চলেছেন হেবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা। তার নির্দেশেই চলবে আফগানিস্তানের নতুন সরকার। একজন প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি কাজ করবেন হেবাতুল্লাহের নির্দেশ মেনেই। যদিও এই মুহূর্তে অন্তরালেই রয়েছেন তালিবানের এই শীর্ষ নেতা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন