Advertisment

তালিবানের সঙ্গে আপস নয়! ‘আমিই তদারকি প্রেসিডেন্ট’, ট্যুইট আমারুল্লা সালেহর

Afganisthan Update Today: ‘আফগানিস্তানের সংবিধান মোতাবেক প্রেসিডেন্টের দেশত্যাগ, অনুপস্থিতি, মৃত্যু এবং পদত্যাগে প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট তদারকি প্রেসিডেন্ট হবেন।'

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Afganisthan Update, kabul Today, caretaker President

আমরুল্লা সালেহ। ছবি: রয়টার্স

Afganisthan Update Today: আফগান নাগরিকদের আশার আলো দেখিয়ে নিজেকে দেশের তদারকি প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করলেন আমারুল্লা সালেহ। প্রেসিডেন্ট আসরফ ঘানির ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন সালেহ। সেই পদের বলেই সংবিধান মতে তিনিই এখন আফগানিস্তানের তদারকি প্রেসিডেন্ট। মঙ্গলবার ট্যুইটারে এই দাবি করেছেন কট্টর তালিবান বিরোধী প্রাক্তন এই গোয়েন্দা প্রধান। তিনি লেখেন, ‘আফগানিস্তানের সংবিধান মোতাবেক প্রেসিডেন্টের দেশত্যাগ, অনুপস্থিতি, মৃত্যু এবং পদত্যাগে প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট তদারকি প্রেসিডেন্ট হবেন। সেই বলে আমি এখন দেশেই রয়েছি এবং তদারকি প্রেসিডেন্ট। আমি সব নেতাদের সমর্থন প্রার্থনা করছি এবং ঐক্যমতে আসতে আহ্বান করছি।‘

Advertisment

তালিবানের সঙ্গে আপসের সম্ভাবনা খারিজ করে সালেহর মন্তব্য, ‘আমি কোনওদিন এক ছাদের তলায় তালিবানের সঙ্গে থাকব না।‘ এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য প্রাক্তন আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের হাত ধরে সালেহর উত্থান। একদা সে দেশের গুপ্তচর সংস্থার প্রধান ছিলেন আমানুল্লা সালেহ। চলতি বছর দেশের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েছেন তিনি। এদিকে, কুড়ি বছর আগের তালিবানের সঙ্গে এখনকার কি কোনও তফাৎ আছে? অনেকেই সেই আশঙ্কা থেকে আফগানিস্তানে ফের অন্ধকার যুগের ভয়ে কাঁটা। কিন্তু তালিবানরা সেই পথে এখনই হাঁটছে না। কাবুল দখলের পর আফগানিস্তান জুড়ে সবাইকে ক্ষমার চোখে দেখছে তারা। শুধু তাই নয়, মহিলাদেরও সরকারে আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক জঙ্গিগোষ্ঠী।

ভীত-সন্ত্রস্ত কাবুল এবং গোটা দেশে ভয়ের বাতাবরণের জেরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার লক্ষ্যেই নরম পন্থা নিয়েছে তালিবানরা। তালিবান সাংস্কৃতিক কমিশনের সদস্য এনামুল্লাহ সামানগানি তালিবান সরকারের তরফে যুক্তরাষ্ট্রীয় স্তরে এই মন্তব্য করেছেন। কাবুলে আর কোনও হিংসা-রক্তপাতের রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। বহু নাগরিক বাড়িতেই রয়েছেন, তবে ভয়ে। আশঙ্কা, টাকা-পয়সা লুঠ বা জেলে নিক্ষেপের।

দুই দশক আগের স্মৃতি যাঁদের টাটকা, তাঁদের আশঙ্কা দেশে ফের অন্ধকার মৌলতান্ত্রিক ইসলামি জমানা ফিরবে। যেখানে অপরাধের সাজা পাথর নিক্ষেপ, প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড, লিঙ্গচ্ছেদ। ২০০১ সালে ৯/১১ হামলার পর মার্কিন বাহিনী তালিবানদের শায়েস্তা করে আসে আফগানিস্তানে। তারপর ধীরে ধীরে তালিবানমুক্ত হন নাগরিকরা। কিন্তু সেই পথে আর হাঁটার কথা বলছে না তালিবানরা। সামানগানি বলেছেন, ইসলামিক আমিরশাহী মহিলাদের আক্রান্ত করতে চায় না। তবে শরিয়ত আইন অনুযায়ী, তাঁরা সরকার গঠনে সাহায্য করতে পারেন।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন  টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Afganisthan Taliban Kabul Today Afganisthan Update
Advertisment